বরিশালে লঞ্চের কেবিনে তরুণীকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:২০, জুন ০২ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী একটি লঞ্চের কেবিনে এক তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করে মাইদুল ওরফে মাসুম নামের এক যুবক।   বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মাধরায় গ্রামের পাশাপাশি বাসিন্দা মাসুম ও তরূণী গত শনিবার রাতে রাজহংস-১০ লঞ্চে করে রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছিলেন।   তরুণী লঞ্চের ডেকে থাকায় মাসুম তাকে গভীর রাতে ডেকে কেবিনে নিয়ে যায়। এবং সেখানে তাকে প্রথমে বিয়ে ও পরে নির্মাণাধীন বিল্ডিং তার নামে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে জবরদস্তি শুরু করে।   পরে সারা রাত এক সাথে কাটিয়ে সোমবার সকালে তরণীকে ঢাকার টার্মিনালে ফেলে যুবক মাসুম পালিয়ে যায়। তরণী ওই দিন এলাকায় ফিরে স্থানীয় খলিল হাওলাদারের ছেলে মাসুমের বিরুদ্ধ থানায় অভিযোগ করেছেন।   অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, বড় বোন তাকে হিজলা থেকে রাজহংস-১০ লঞ্চে তুলে দেন। ওই দিন একই এলাকার মাসুমও ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তখন মাসুমকে দেখতে পেয়ে বড় বোন তাকে খেয়াল রাখতে বলেন। কিন্তু লঞ্চ ছাড়ার পরে গভীর রাতে মাসুম এসে তরুণীকে বিছানাসহ কেবিনে নিয়ে যায়।   এবং রাতে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তরণীকে মাসুম বিবাহ করাসহ তার নামে অর্ধনির্মিত ভবন লিখে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু এতে তরুণী সম্মত না হলে একপর্যায়ে জবরদস্তি শুরু করে।   এবং ওই রাতে কয়েক দফা তরুণীকে লঞ্চের কেবিনে মাসুম ধর্ষণ করে। পরে তরুণী কান্নাকাটি করলে তাকে গ্রামে গিয়ে বিয়ে করার ফের প্রস্তাব দিলেও সোমবার সকালে লঞ্চটি ঢাকায় পৌছালে মাসুম লাপাত্ত হয়ে যায়।   তরুণীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার তরুণী গ্রামে ফিরে আসে এবং সোমবার থানা একটি অভিযোগ করেন।   তরুণী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গ্রামে ফিরে মাইদুলের বাসায় গিয়ে তার বাবা খলিল হাওলাদারকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি সব শুনে চুপ থাকতে বলেন এবং ধর্ষণের সাজা হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তাড়িয়ে দেন।   কাজীরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মাইদুল স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মুঠোফোনে জানিয়েছেন, সেই রাতে তরুণী তার কেবিনে থাকলেও আলাপচারিতা ব্যতিত কিছু হয়নি।