এস.এস.সি পরীক্ষার মাঝেও থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য

কামরুন নাহার | ০০:৫৬, ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্র“য়ারি এক মাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষাকালীন কোচিং সেন্টার বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে কোনো কোচিং অথবা প্রাইভেট সেন্টারের কার্যক্রম চলছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই নির্দেশ অমান্য করে কোচিং ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু কোচিং ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এলাকার সদর গালর্স স্কুলের বিপরীতে ড্যাফোডিল, সাইন্স এইড, রাইট একাডেমী, শীতলাখোলা এলাকায় অঙ্কুর কোচিং সেন্টার সহ বগুড়া রোড, রুপাতলি, সাগরদী, কাউনিয়া, বিএম কলেজ এলাকা, জিয়া সড়ক, বৌদ্ধ পাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে চলছে কোচিং বানিজ্য। শুধু এলাকাতেই নয় নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে দেখা যায় কোচিং সেন্টার। কোচিং সেন্টারগুলোর সাইনবোর্ড প্যানাই আকর্ষনীয় অফার, শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি ফেরাতে পাশের নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে। নগরীর সরকারি, বেসরকারি স্কুল-কলেজের সিংহভাগ শিক্ষক এখনো শ্রেণীকক্ষের চেয়ে প্রাইভেট ব্যাচ বা কোচিংয়েই বেশি মনোযোগী বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। তাদের অভিযোগ শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট, ব্যাচ ও কোচিং না করা হলে পরীক্ষার খাতায় নাম্বার পাওয়াও যায় না। সরেজমিনে আরো দেখা গেছে নগরীর শীতলাখোলা এলাকায় অমৃতলাল কলেজের ব্যবসায়-শিক্ষা শাখার খন্ডকালিন শিক্ষক পলাশ প্রাইভেটের নামে ব্যাচে ব্যাচে কোচিং বানিজ্য চালাচ্ছে। সংবাদকর্মী তার কাছে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে কোঁিচং চালানো বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা কোচিং না ১০-১২ জন প্রাইভেট পড়ানো এটা নিয়মের বাহিরে না । আর অভিভাবকদের দাবি-নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত মনিটরিং টিম মাঠে নামলে শ্রেণী কক্ষের মানসম্মত পাঠদান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ করা সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। নির্দেশে বলা আছে ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্র“য়ারি পযর্ন্ত সারা বাংলাদেশে সব কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট বন্ধ থাকবে। কোচিং প্রাইভেট বন্ধের প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্র“য়ারি এর মধ্যে যদি কোন কোচিং অথবা প্রাইভেট সেন্টার খোলা রেখে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।