২৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছে সড়ক পরিবহন মালিকরা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:২৬, মে ২৬ ২০২১ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ লকডাউনে ৮৭ দিন বাস বন্ধ ছিল। এই বন্ধের সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। আমরা গাড়ি না চালালে সরকারকে রাজস্ব দিতে পারব না। এ জন্য সরকারের কাছে রাজস্ব মওকুফের আবেদন জানিয়েছি। আমরা সরকারের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছি। এখন সরকার বিবেচনা করবে কমও দিতে পারেন, আবার বেশিও দিতে পারেন। তবে সরকার থেকে আমাদের প্রণোদনা দেয়ার কথা। প্রণোদনার টাকা হাতে পেলে প্রত্যেক জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। করোনার কারণে মালিক- শ্রমিক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার সবাইকে প্রণোদনা দিচ্ছেন। একারণে আমরাও প্রণোদনা চেয়েছি। সারাদেশে প্রায় ১২ লাখ গাড়ি রয়েছে। সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। বুধবার দুপুরে রংপুর নগরীর দক্ষিণ গুপ্তপাড়ায় জেলা মটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এসব কথা বলেন। এসময় সমিতির সাবেক সভাপতি আবু আজগর পিন্টু, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হকসহ পরিবহন মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। রাঙ্গা বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা গণপরিবহন চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু বিধিনিষেধ মেনে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে এটা অসম্ভব। সকালে ও বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন অসম্ভব দাঁড়িয়েছে। সকালে বেশির ভাগ মানুষ অফিসে যান। এসময় সবাই তাড়াহুড়ো করে গাড়িতে উঠতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের ১৪টি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ভ্যারিয়েন্টের টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।