ইয়াসের প্রভাবে বরিশাল বিভাগে ১২ পয়েন্টে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত; গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:২৩, মে ২৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানির চাপে বরিশাল বিভাগের ৩ জেলার ১২টি পয়েন্টে বেঁরী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওইসব পয়েন্ট থেকে পানি ঢুকে বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলায় তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা সরেজমিন কাজ করছনে বলে জানিয়েছেন পাউবো দক্ষিণাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার। ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় বেঁরী বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। ওইদিন রাতেও বেশ কিছু পয়েন্টে বেঁরী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হু হু করে পানি ঢুকে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ইয়াসের প্রভাবে সাগরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলের বিভিন্ন নদী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু জোয়ার বয়ে যায়। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অভিযোগ, ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরের’ পর থেকে তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকার তাদের কথায় কর্ণপাত না করায় নাজুক বেঁরী বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষেতের ফসলসহ নানা সম্পদ। তারা জনগনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নাজুক ও ক্ষতিগ্রস্ত বেঁরী বাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিনাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রনাধীন ৮৮টি বেঁরী বাঁধ রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ২শ ৮৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুস্ক মৌসুমে ১০৪ কিলোমিটার বাঁধ ঝূঁকিপূর্ণ ছিলো। ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধের ৮১ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার ও মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৩ কিলোমিটার মেরামতের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান আছে। তিনি আরও জানান, ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে সাগরে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভাগের বরগুনা সদরে বেরী বাঁধের ৪টি পয়েন্ট, বামনায় ২টি পয়েন্ট, বেতাগীতে ১টি পয়েন্ট, পাথরঘাটায় ১টি পয়েন্ট ও আমতলীতে ১টি পয়েন্ট, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নিজামপুরে ১টি পয়েন্ট ও ধুলাসারে ১টি পয়েন্ট এবং ভোলার মনপুরায় ১টি পয়েন্টসহ মোট ১২টি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে এক থেকে দেড় কিলোমিটার বেরী বাঁধের ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ক্ষতি নিরূপণে পাউবোর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ক্ষতি নিরূপণ হলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন পাউবো দক্ষিণাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার।