আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে প্রেম ॥ অতঃপর ধর্ষণে অন্তঃস্বত্ত্বা কিশোরী
ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর কিশোরী এখন অন্তঃস্বত্ত্বা। অনাগত সন্তানের দায় এড়াতে ধর্ষক ও তার পরিবার এখন কিশোরী ও তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। অভিযুক্ত প্রেমিক রুবেল রসুলপুর ইউনিয়নের মৃত মহিজল হকের ছেলে এবং ভিক্টিম কিশোরী ৯ম শ্রেণির ছাত্রী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটানায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক রুবেলকে আসামী করে রোববার ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক রুবেল ও ভিক্টিম একই গ্রামে বসবাস করেন। প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার পথে রুবেল তাকে প্রেম প্রস্তাব দেয়। সে রাজি না হলে তাকে নানানভাবে উত্যক্ত করে।
দীর্ঘদিন উত্যক্ত করার পর রুবেল তার বাড়িতে এসে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এভাবে তাদের মধ্যে প্রেম প্রণয় ঘটে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বর্তমানে ভিক্টিম ৩ মাসের অন্তঃস্বত্বা। দৈহিক সম্পর্কের জেরে কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হলে বিষয়টি প্রেমিক রুবেলকে জানান হয়। জানার পর থেকে রুবেল গা-ঢাকা দিয়েছে। তাকে বিয়ে করতে এবং অনাগত সন্তানের দায় নিতে অস্বীকার করেন রুবেল এবং গর্ভের সন্তান অপসারণের জন্য কিশোরীকে চাপ দেন। ভিক্টিমের ভাবি জানান, স্থানীয় মাতাব্বরা রুবেলের পক্ষ নিয়ে ভিক্টিম পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করে। মাতাব্বরদের হুমকিতে ভিক্টিম ও তার পরিবার এখন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলা দায়ের করলে গ্রাম্য মাতাব্বর এবং রুবেল পরিবারের তরফ থেকে হুমকী ধামকীর মাত্রা বেড়েছে। অব্যহত হুমকিতে বিপাকে রয়েছে ভিক্টিমের পরিবার, পরিবারটি এখন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযুক্ত রুবলে আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার বড় ভাই ফারুক জানান, আর্থিক লেনদেনের বিষয় নিয়ে আমারা ছোট ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে।
শশীভূষণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। আদালত থেকেও কোন আদেশ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ কিংবা আদালতের আদেশ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।