আমতলীতে পিলার চক্রের ৩ প্রতারক গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আমতলীতে পিলার দেখিয়ে প্রতারনা কালে রবিবার বিকেলে হলদিয়া ইউনিয়নের সোনাউটা গ্রামের মুছা ফকিরের বাড়ি থেকে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী র্যাব- ৮ সদস্যরা।
সোমবার তিন প্রতারককে পুলিশ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের মালেক প্যাদার ছেলে আল আমিন প্যাদা তার সহযোগী নুর আলম মোল্লা ও জামাল হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন ম্যাগনেটিক পিলার দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে তারা মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে।
রবিবার বিকেলে ওই প্রচারক চক্র আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সোনাউটা গ্রামের মুছা ফকিরের বাড়ীতে কথিত ম্যাগনেটিক পিলার ক্রয়-বিক্রয় করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী র্যাব-৮ ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাজীব ফরহানের নেতৃত্বে র্যাব ওই বাড়ীতে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতারক চক্র পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে।
এ সময় র্যাব প্রতারক চক্রের মুল হোতা আল আমিন প্যাদা, নুর আলম মোল্লা ও জামাল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। ওই সময় প্রতারকদের সাথে থাকা কথিত পিলার ও দুটি মোবাইল ফোর জব্দ করে র্যাব।
র্যাব জানান বৃর্টিশ আমলের ম্যাগনেটিক পিলারে অলৌকিক চুম্বকীয় ক্ষমতা রয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। ওই পিলারের গায়ে ঊঅঝঞ ওঘউওঅ ঈঙ-১৮১৮ লেখা রয়েছে। বাস্তবে ওই পিলার প্রতারক চক্রের ধাতব মুদ্রা দিয়ে তৈরি করা। এতে কোন অলৌকিক চুম্বকীয় ক্ষমতা নেই।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে আমতলী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (খ) ধারায় গ্রেফতারকৃত তিন প্রতারকের নামে মামলা দায়ের করে ওইদিন রাতে আমতলী থানায় সোপর্দ করে। সোমবার দুপুরে পুলিশ তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, তিন প্রতারককে মামলার পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।