দীর্ঘ ২ মাসেরও বেশী সময় পর আজ থেকে চালু হচ্ছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল। আজ ঢাকা ও বরিশাল দুই প্রান্ত থেকেই যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। গতকাল রবিবার আন্তঃ মন্ত্রনালয়ের এক বৈঠকের পর লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় এবং বেশ কিছু নির্দেশনাও প্রদান করা হয়। নির্দেশনার মধ্যে অন্যমত হলো ধারন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করা এবং সকল যাত্রী ও স্টাফদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা। তবে সরকারী নির্দেশনা মেনে যাত্রীদের গুনতে হবে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া। সে ক্ষেত্রে ডেকের ভাড়া দাড়াবে ৪’শ টাকার কিছু বেশী। তবে প্রথম শ্রেনী ও কেবিনের ভাড়া বাড়ছে না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ সভাপতি সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সোমবার থেকে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা সোমবার থেকেই চালানো শুরু করব। তিনি বলেন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকার যে সব নির্দেশনা ও বিধি নিষেধ প্রদান করেছে তা অবশ্যই মান্য করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ডেকের যাত্রীদের ভাড়া হয় ৪১২ টাকা কিন্তু আমরা ৪’শ টাকা নেব আর কেবিনের পূর্বের ভাড়াই নেয়া হবে। স্বাস্থ্য বিধির কথা চিন্তা করে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতের পাশাপাশি ডেকের যাত্রীদের স্থান নির্ধারন করে দেওয়া হবে। যাতে ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী না হয়। এদিকে দীর্ঘ সময় পর লঞ্চ চলাচলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বরিশাল নৌ বন্দরে লঞ্চ স্টাফদের আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে। নেচে গেয়ে লঞ্চ ধোয়া মোছাসহ প্রস্তুতির সকল কাজও করেছেন তারা। লঞ্চ স্টাফরা বলেন একটা দিন লঞ্চ না চললে আমাদের সংসার চলে না। সেখানে গত ২ মাস ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন কাটাতে হয়েছে। লঞ্চ চলাচলের খবরটি আমদের কাছে ঈদের আনন্দের চেয়ে বেশী মনে হয়েছে। উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে করোনা সংক্রমনের কারনে বন্ধ ছিলো ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল। গত ২২ মার্চ চলাচলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলো লঞ্চ মালিকরা। এর একদিন পরই সরকারের পক্ষ থেকে লঞ্চ চলাচলের ঘোষনা আসে।