আগৈলঝাড়ায় ১৮৪৫ জনের করোনার ২য় ডোজ নেয়া অনিশ্চিত

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:০১, মে ২৩ ২০২১ মিনিট

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেয়া ১ হাজার ৮ শত ৪৫ জন মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভ্যাকসিন না পেয়ে তাদেরকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। প্রথম পর্যায়ে উপজেলায় ১০ হাজার ২ শত ৩৮ জন মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করলেও ৩ হাজার ৮ শত ৮৫ জন মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেননি। গত ৭ ফেব্র“য়ারী থেকে টিকা দেয়া শুরু হলে উপজেলার ৬ হাজার ৩৫৩ জন মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করে। এদের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণকারী পুরুষ ৩ হাজার ৭ শত ১১ জন ও মহিলা ২ হাজার ৬ শত ৪২ জন। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ডোজ ৪ হাজার ৫ শত ৮ জন মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের টিকা গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহনকারী পুরুষ ২ হাজার ৭ শত ৮৬ জন ও মহিলা ১ হাজার ৭ শত ২২ জন। এর মধ্যে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া দ্বিতীয় ডোজ শেষ হওয়ায় ১ হাজার ৮ শত ৪৫ জন ব্যক্তির করোনা ভ্যাকসিনের টিকা গ্রহণ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে শেষ হওয়া দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারী ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নির্ধারিত দিনে ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। গত বুধবার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখ ছিল। টিকা শেষ হওয়ার আগে আমাদের জানালে ভালো হতো। টিকা নিতে আসা অমিত দাস বলেছিলেন, গত শনিবার আমাদের করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার কথা ছিল। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে এসে দেখলাম, টিকা দেওয়ার কক্ষে কেউ নেই। একজনের কাছ থেকে জানতে পেলাম যে টিকা শেষ হয়ে গেছে। তারা আমাদের আগে জানিয়ে দিলে আমরা এমন হয়রানির শিকার হতাম না। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন বলেন, করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে প্রথম ডোজ দিয়েছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা ৬ হাজার ৩ শত ৫৩ জনকে টিকা দিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপে আমরা ৪ হাজার ৫ শত ৮ জনকে টিকা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে না পেরে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এটি কয়েক দিন পর গ্রহণ করলেও কোনও সমস্যা নেই। সরকার প্রদত্ত টিকা শেষ হওয়ায় আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা খুব শিগগিরই হয়তো কিছু নতুন ডোজ পাবো। আশা করি, তখন সবাইকে টিকা দিতে পারবো।