চরফ্যাসনে হোটেল থেকে পঁচা মাছ-মাংস উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার চরফ্যাসনে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুটি ফ্রিজ থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা মাছ-মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে গোপন সংবাদের মাধ্যমে চরফ্যাসন পৌরসভার মেয়র মো. মোরশেদ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামুর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
চরফ্যাসন পৌর মেয়র মো. মোরশেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চরফ্যাসনে হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোতে পঁচা বাসি ও ভেজাল খাবার বিক্রি নিয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে। শনিবার রাতে পূর্ব বাজারে ৩০০ মরা মুরগি ড্রেসিং করে বিভিন্ন হোটেলে বিক্রির জন্য এনেছিল এক ব্যক্তি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তুলে দিয়েছি।
ভেজাল বিরোধী অভিযানকারী পৌর কাউন্সিল সামু বলেন, মরা মুরগিসহ আটক রাসেল আবুবকরপুরের একটি পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারী কাম-পরিবহনকারী। সে মালিকের কথা অনুযায়ী মরা মুরগি বাজারে আনে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক কর্মচারী রাসেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিন ফার্মের অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে। সে ঈদের আগেও তার মতো আরও কয়েকজন কর্মচারী বাজারে মরা মুরগি ড্রেসিং করে হোটেলে বিক্রি করেছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস বলেন, ঘটনা অনুসন্ধান চলছে। তদন্তের আগে অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। এসব মরা মুরগি কোন কোন হোটেলে সরবরাহ করা হতো সেই রহস্য উদঘাটন হলে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের নাম।
চরফ্যাসন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মনির বলেন, হোটেল ব্যবসার নামে মানুষকে যারা ভেজাল খাবারের ব্যবসা করে আমরা তাদের পক্ষে নই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
পৌরসভার মেয়র মো. মোরশেদ রবিবার গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন চরফ্যাসন বাজারে আজ থেকে কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় মুরগির গ্রীল ও চাপ তৈরি করে বিক্রি করা যাবে না।