বরিশালে স্বামীর নির্যাতনেই খুন হয় কুলসুম

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৫:৪৪, মে ০১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  চারমাস প্রায় পাড় হতে চলছে লাল হাওলাদার আজও পাড়েনি তার বোন তিন কন্যা সন্তানের জননী কুলসুস আক্তারের হত্যাকারী ঘাতক স্বামী বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে। ঘটনাটি বরিশাল জেলার বাখেরগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব চরাদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গুয়াখালী হাওলাদার বাড়িতে। ঘাতক স্বামীর নির্যাতরের পূর্বে নিহত কুলসুম আক্তার, জান্নাতী (১১),সোনা মনি (৭) ও সোহানাকে ৫ মাস বয়সের তিন কন্যা সন্তান রেখে গেছে। ঘটনাস্থলে অনুসন্ধানে গেলে বেড় হয়ে আসে গত চারমাস ভয়ে ঘড় বন্ধি হয়ে থাকা শ্যালক লাল হাওলাদার সহ বিভিন্ন স্থানীয় মহিলারা এসে দিতে থাকেন বিভিন্ন তথ্য। এসময় লাল হাওলাদার বলেন, ২০২০ সালের ১২ই ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ ঘড়ে কুলসুমের ঘাতক স্বামী মাসুদ হাওলাদার নির্যাতন ও শ^াষরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে স্থানীয় চিকিৎসক উজ্জল ও খোকনকে বাড়িতে ডেকে আনার পরও তারা কুলসুমকে দেখে কিছু না বলে চলে যায়। পড়ে মাসুদ হাওলাদার তড়িগড়ি করে এবং লালের বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছুটে আসা স্থানীয় এলাকাবাশীদের নিয়ে আছরবাদ নামাজের যানাযা শেষে দাফন দেওয়া হয়। এর পর থেকে মাসুদ তার বিভিন্ন লোকজনদের দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও নিজের নজরদারী করা সহ বরিশালে আসতে বাধা প্রদান করার কারনে এবং নিজের জীবনের ভয়ে মামলা দায়ের করার জন্য কোথাও যেতে পাড়েনি লাল হাওলাদার এতথ্য জানান। এব্যাপারে স্থানীয় চৌকিদার বলেন, আমি ঘটনার তিন দিন পর শুনে লালের কাছে ঘটনার বিষয় যানতে চাইলে সে বিভিন্ন ভয়ভীতির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া মাসুদ হাওলাদার একজন চরিত্রহীনতার মানুষ লালের বাড়ির এমন কোন মহিলা নেই সে জ্বালা যন্ত্রনা সহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন সহ উক্তাক্ত করে নাই। এমনকি শালা লাল হাওলাদারের এর স্ত্রী ও বড় ভাই শাহিন হাওলাদারে স্ত্রীকে প্রায় সময় অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া সহ তাদেরকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাবার প্রলোভন দেখানো সহ শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলার কারনে হয়ত স্ত্রী কুলসুম বাধা হয়ে দাঁড়াবার এই অনাকাঙঙ্খিত হত্যার মত ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। চৌকিদার নজরুল আরো বলেন কুলসুম আক্তারকে গোসল করিয়েছে দেলোয়ারা ও জালালের স্ত্রী তারা বলেছে লাশের গলায় কালো দাগ সহ বিভিন্ন নখের আছরের দাগ দেখতে পায় তারা। এব্যাপারে মাসুদের মামাতো ভাই শ্রমিক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এখানে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা ছিটিয়ে একে অপরকে হয়রানি করতে পারবে। বেশ কয়েক মাস আগে মাসুদের একটি কণ্যা সন্তান হওয়ার থেকে সে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। তবে মাসুদের একটু বাজে অভ্যাস আছে বলে শোনা যায় সে থেকেই হয়ত পারিবারিক কোন্দাল থাকলেও হত্য করার মত সংসারে অশান্তি ছিল না। নিহত কুলসুমের ভাই লাল হওলাদার আরো বলেন, লাশ দাফন দিয়ে কুলসুমের স্বামী মাসুদ হাওলাদার হত্যাকান্ডের পরপরই ঢাকার হাজারীবাগ, কাজিরবাগ মসজিদ গলির সলিম মিয়ার ম্যাচে অবস্থান করছেন। এব্যাপারে মাসুদের ব্যবহত মুঠোফোনে কল করা তিনি অকপটে স্বিকার করে বলেন হয়ত আমার একটু বাজে নেশা আছে তাই বলে আমি আমার তিন কণ্যা সন্তানের মাকে কেন মারব। আমার সন্তানেরাতো এখন আমার মা-বাবার কাছে। আসলে স্থানীয় কতিপয় মানুষ আমার স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য আমার শালাদের কেহ ব্যবহার করে ফায়দা লুঠার চেষ্টা করছে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই ধরনের কোন অভিযোগ আমাকে কেহ জানাই নাই। এব্যাপারে বাখেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন জানান, আমাদের কাছে এধরনের কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত কেহ আসে নাই।