লকডাউনের তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে লাহারহাট ঘাট থেকে স্পিডবোট

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:৫১, এপ্রিল ২৮ ২০২১ মিনিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহামারী করোনাভাইরাস এর ২য় ঢেউ সামলাতে জনগনকে রক্ষার স্বার্থে সড়া দেশে লকডাউন দিলেও তা কোন ভাবেই মানছে না লাহারহাট স্পিড বোর্ট মালিক সমিতি। প্রশাসন ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বোট চালাচ্ছে তারা। কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করেই লাহার থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে স্পিডি বোট চালাচ্ছে ঘাট পরিচাল মহাসিন। এমনকি অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে রাতেও বোট চালানোর অভিযোগ রয়েছে মহাসিনের বিরুদ্ধে। স্পিডিবোটে কোন ধরনের আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দূর্ঘটনা এড়াতে রাত্রিকালিন সময়ে প্রশাসের পক্ষথেকে বোট চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও তাও মানছে না ঘাট পরিচালক। কোস্টগাট, নৌ পুলিশ, বিআইডাব্লিউ একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না।   লাহারহাট স্পিডি বোট মালিক সমিতির এমন খামখেয়ালীর কারনে বিগত দিনে একাধিকবার দূর্ঘটনা ঘটেছে। প্রানহানিও হয়েছে অনেক। এর পরেও কোন অদৃশ্য ক্ষমতার বলে সরকারী আইন অমান্য করে তারা বোট চালাচ্ছে এর কোন স্বদউত্তর মেলেনি কারো কাছে। এবিষয়ে লাহারহাট স্পিডিবোট ঘাট পরিচালক মহাসিন অভিযোগ অশিকার করে বলেন, আমারা করোনার মধ্যে কোন বোট চালাই নাই।   তবে প্রশাসনের বিশেষ অনুরোধ মাঝেমধ্যে দুইএকটা বোট ছড়েছি। তবে যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, লাহারহাট থেকে ভোলা বেদুরিয়া ভাড়া একশত বিশ টাকা হলেও লকডাউন উপলক্ষে ভাড়া নিচ্ছে তিনশত থেকে সাড়ে তিন শত টাকা। যাত্রীও নিচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে বশি। এই হয়রানির কথা বলতে গেলে ইজারাদার জানান সরকারি নিয়মেই তারা টাকা নিচ্ছেন। যদিও টিকিটের বিষয়টি এড়িয়ে যান তারা। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে উত্তাল কালাবদর পাড়ি দেওয়ার জন্য লক্কর-ঝক্কর স্পিডবোট চালানোর জন্য দক্ষ ড্রাইভার নেই। এসব স্পিডবোটের চলাচলের অনুমতি নেই, বৈধ কাগজপত্র নেই।   সরকারি দপ্তরের বিকল বাতিল পুরানো স্পিডবোট নিলামে ক্রয় করে জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ রমরমা ব্যবসা। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে বরিশাল-ভোলা নৌ রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করে এ স্পিডবোটগুলো। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটলে তা আপস নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এ রুটের স্পিডবোট দুর্ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি মারা গেলেও দোষী কাউকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। নিয়মিত যাত্রী পরিবহন ছাড়াও চুক্তিভিত্তিক এসব স্পিডবোট দিনে-রাতে সমান তালে ভাড়ায় হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, বাউফলসহ বিবিন্নস্থানে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। দ্রুত যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব স্পিডবোটে যাতায়াত করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, বন্দর থানার কর্মমর্তার সাথে আর্থিক লেনদেন থাকায় হয়রানির বিষয়ে কথা বলেও কোনো লাভ হয় না। টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ানম্যান বাহাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়ে আগে জানতাম না আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম,আমি এই বিষয় খোজ নিয়ে দেখবো। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করলেন বন্দর থানার কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আমি ও আমাদের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে অভিযান চালাবো।   এ বিষয়ে বরিশাল স্পিডিবোট ঘাট লাইন ইনচার্জ তারেক শাহা বলেন, সরকার লকডাউন দেয়ার পর থেকে আমারা একমাত্র রোগী ছাড়া তাও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে স্পিডিবোট ছেরেছি। কিন্তু লাহারহাট ঘাট থেকে নাকি প্রতিদিই স্পিডিবোট চালানো হয় বলে আমরাও শুনিছি। তারা কিভাবে ম্যানেজ করে চালায় তা আমরা জানি না।