নগরীতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

কামরুন নাহার | ০০:২৬, ফেব্রুয়ারি ০৭ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানা পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেল চোর চক্রের মূলহোতোসহ ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করতো বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্ততারকৃতরা হলো- বরিশাল নগরের পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার কাঞ্চন আলীর ছেলে আলামিন (২১), বাগেরহাট জেলার মংলার সিগন্যাল টাওয়ার এলাকার মোঃ হারুন হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদার (২৯) ও খুলনা জেলার ফুলতলার দামুদার এলাকার মৃত আহম্মদ দপ্তরীর ছেলে রবিউল(৪৫)। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম। তিনি জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের কাছে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার অভিযোগ আসে। ধারাবাহিকতায় গত ২২ জানুয়ারি নগরের পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা লাবু খান তার ইয়মাহা কোম্পানির এফজেড ভার্সন-৫ মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। অভিযোগ সূত্রে আমরা জানতে পারি লাবু খানের মোটরসাইকেলটি ২১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতের কোন একসময় তার বাসার গেটের তালা কেটে চোরচক্র নিয়ে যায়। ক্লু-লেস এসব চুরির ঘটনার তথ্য একত্র করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের তত্ত্বাবধানে কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম, ওসি আজিমুল করিম, পরিদর্শক হিরন্ময়, উপ-পরিদর্শক জসীম উদ্দিন, শম্ভুসহ বেশ কয়েকজন সদস্যের নেতৃত্বে কয়েকটি টিম গোপনে অভিযানে নামানো হয়। পরে একটি ছোট্ট ক্লু উদঘাটন করে, তার সূত্র ধরে বরিশাল নগর থেকে আলামিনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যানুযায়ী গত বুধবার দিবাগত রাতে বরিশাল ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইউনুস এবং চক্রের মূলহোতা রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি লাবু খানের চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটিও তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন থানায় থাকা মামলার সূত্র ধরে জানা গেছে, আনুমানিক ২০১৫ সাল থেকে রবিউল ও তার লোকজন এ কাজের সাথে জড়িত। এ চক্রের বাকী সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে, যে কারণে আমাদেরা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশাকরি বাকীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আরো কিছু চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সময়ের সাথে সাথে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এডিসি (উত্তর) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলে, গ্রেফতার হওয়া আসামীদের মধ্যে আলামিন আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। এছাড়া মূলহোতা রবিউলসহ ২ জনও আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন তথ্য ও ক্লু দিয়েছে। যার সূত্র ধরে বোঝা যায়, বেশ কয়েকটি হাত বদল হয়ে বরিশাল থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলগুলো বিভিন্ন পথে গোপালগঞ্জ হয়ে সরাসরি খুলনাতে চলে যেতো। সেখানে তারা এগুলো কমদামে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করতো। আর পুরো পক্রিয়ায় ৬-৭ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র কাজ করে।