অপারেশনের জন্য প্রয়োজন টাকা, অনিশ্চয়তার মধ্যে শারমিনের জীবন

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:১১, এপ্রিল ২৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বয়স সবেমাত্র ১৪। এখনো সে অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। ছোট্ট একটি ভুল আর অসাবধানতায় আজ জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা মধ্যে রয়েছে কিশোরী শারমিন। দিনমজুর বাবা ইউনুছ পহলানের একমাত্র মেয়ে শারমিন। শারমিন এখন সাভার এনাম মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (২৪ এপ্রিল) প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে। জানা যায়, বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে শারমিনের নানি ফাতেমা বেগমের বাগানের আম গাছ থেকে আম পাড়ার জন্য শারমিনকে গাছে উঠতে বলে। গাছে ওঠার পরে প্রায় ৩০ হাত ওপর থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় শারমিনের। সেখান থেকে দ্রুত তাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শারমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিক ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শারমিনের বাবা ইউনুছ পহলান বলেন, আমি কাজে ছিলাম। ঘরে আমার স্ত্রী শারমিনের চিৎকার শুনে গাছের নিচে গিয়ে দেখে মেয়ে পড়ে রয়েছে। তখন আমার স্ত্রীকে দেখে মেয়ে বলে ‘আমাকে আজরাইল নিতে আসছে। ওই আসছে ওই আসছে’। তখন তাকে মাটি থেকে দাঁড় করালে সে আবারও পড়ে যায়। তিনি বলেন, আমার মেয়ে বর্তমানে মৃত্যুশয্যায়। চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত অপারেশন করতে না পারলে মেয়েকে বাঁচানো যাবে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপারেশন করতে হলে প্রায় ৬ লাখ টাকা লাগবে। আমি দিনমজুর মানুষ। আমার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমার মেয়ের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। শারমিনের বাবা একজন দিনমজুর। একমাত্র ভাই আলমাস পহলান একজন মৎস্য শ্রমিক। শারমিনের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাব্বাড়িয়া গ্রামে। ২০২১ সালে তার এসএসসি পরীক্ষার দেওয়ার কথা।