গত জানুয়ারি মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৪৫

কামরুন নাহার | ০০:৪৪, ফেব্রুয়ারি ০৬ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ গত জানুয়ারি মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত ও ৮৩৪ জন হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এ সময়ে সংঘটিত ৩৪০টি দুর্ঘটনায় এসব নিহতের মধ্যে শিশু ৩৯ ও নারী ৮১ জন। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি। গত মাসে দেশের সাতটি জাতীয় দৈনিক, চারটি অনলাইন পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। ৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১০৩ জন, যা মোট নিহতের ২৩.১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ২৬.১৭ শতাংশ। আর বিভিন্ন যানবাহনের আঘাতে পথচারী নিহত হয়েছে ১২২ জন, যা মোট নিহতের ২৭.৪১ শতাংশ। এ ছাড়া বাসযাত্রী ৩৩, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোযাত্রী ২৮, ট্রাক ও পিক-আপ ভ্যান যাত্রী ২৪, থ্রি-হুইলার যাত্রী ১০৬ জন নিহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। যাবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ২৯ জন। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩১৭ জন, যা মোট নিহতের ৭১.২৩ শতাংশ। সড়কভেদে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে- ১৮৪টি (৫৪.১১ শতাংশ)। আর মহাসড়কে ঘটেছে ১৫৬টি (৪৫.৮৮ শতাংশ) দুর্ঘটনার। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনাগুলোর ধরণও তুলে ধরা হয়। মুখোমুখি সংঘর্ষ ৬১টি (১৭.৯৪ শতাংশ), নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বা উল্টে ৮৯ (২৬.১৭ শতাংশ), সাইড দিতে গিয়ে ৬৬ (১৯.৪১ শতাংশ) এবং চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে ১২২টি (৩৫.৮৮ শতাংশ দুর্ঘটনা)। দুর্ঘটনায় দায়ী ৪৬৯টি যানবাহনের মধ্যে বাস ৭০টি, ট্রাক ও পিক-আপ ৯৭, কাভার্ড ভ্যান ১৬, লরি ও ট্রাক্টর ২৩, কার ও মাইক্রোবাস৩৩, মোটরসাইকেল ৮৯, বাইসাইকেল ১৬, নসিমন করিমন, আলমসাধু ও মাহেন্দ্র ৮৭, সিএনজি ও ইজিবাইক ৩৩, টমটম ২, পাওয়ার টিলার ১, ট্রলি-১, পুলিশ জিপ ১টি। একই সময়ে ১১টি রেলওয়ে দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং আটটি নৌ দুর্ঘটনায় সাত জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয় রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন গাড়ি, দ্রুতগতি, অদক্ষ চালক, চালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১০টি কারণ তুলে ধরে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক বাড়ানো, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার, চালকদের কাজের সময় নির্ধারণ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ৯টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।