মেহেন্দিগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৪শ, মৃত্যু-১, স্যালাইনের তীব্র সংকট

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৫:৫৪, এপ্রিল ১৯ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ডায়রিয়ার চরম প্রকোপে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় শতাধিক রোগী। রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।তাই চাপ সামলাতে হাসপাতালের বারান্দায় বাধ্য হয়ে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওয়ার্ডের বাইরে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকায় গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে চিকিৎসাধীন রোগীর। এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইনও নেই। ফলে তা বাইরের দোকান থেকে অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। সোমবার দুপুরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন (সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত)। চিকিৎসাধীন রয়েছেন শতাধিক রোগী। এছাড়াও গত শুক্রবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধী নিতে আসা পৌরসভার চরহোগলা ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কবির হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগম (৩৮) নামের এক একজন মারা যান। চলতি সপ্তাহে প্রায় ৪শ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। তাই রোগীদের ওয়ার্ডের বারান্দাসহ সামনের খালি জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রচণ্ড গরমে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা না করায় রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, রোগী ভর্তির সময় মাত্র একটি স্যালাইন সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছে।বাকিগুলো বাজার থেকে কিনতে হয়েছে। এছাড়া ওষুধও ঠিকমতো দেওয়া হয় না এবং ডাক্তারও ঠিকভাবে দেখেন না বলে অভিযোগ তাদের।বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর স্বজন জানান, ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে একটি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। পরে রোগীর আরেকটি স্যালাইনের দরকার হলে তা দোকান থেকে কিনেছেন। এছাড়া বারান্দায় বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড গরমে খুব কষ্টে আছেন। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত উপ-কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় আনুপাতিক হারে রোগীদের স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত যারা সুস্থ্য হয়েছে তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত বেড না থাকায় অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। রোগীদের সেবা প্রদানে আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম রজিম আহম্মেদ’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।