বরিশাল শেবাচিমের ওসিসি’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত শুরু

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৪১, এপ্রিল ১১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ওসিসিতে সহায়তা পাচ্ছে না নির্যাতিতা নারীরা!” শিরোনামে বরিশাল ক্রাইম নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর সরাসরি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তভারের দায়িত্বে রয়েছে বরিশাল সিভিল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট(সিআইডি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডি ইন্সপেক্টর ইউসুফ। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে সিআইডি ইন্সপেক্টর ইউসুফ বলেন ‘আমরা নিখুঁত তদন্ত করছি। এ তদন্ত প্রতিবেদন সরাসরি বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়ার্টারে খুব শীঘ্রই জমা দেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, ওসিসিতে সেবা নিতে আসা নির্যাতিতার সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাদের পরিবারের সদস্য ও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এখানকার দায়িত্বরতরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা একাধিক নারী। দায়িত্বে থাকা প্রকল্প সমন্বয়ক সুলেখা,অ্যাডভোকেট আসমা,পুলিশের এসআই জলিল,এসআই ফরিদা বেগম,নার্স পুষ্প,অফিস সহকারী রেহেনা বেগম,হারুন ওরফে পান হারুন,রেজাউল করীম,মনির নির্যাতনের শিকার নারীদের সাথে খারাপ আচরন করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ বছর এখানে চাকুরী করার সুবাদে এখানকার দায়িত্বরতরা এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে- পুলিশের এসআই জলিল ও এসআই ফরিদা নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামীর কাছ থেকে সমাধানের কথা বলে টাকা নিয়ে আসেন। আবার নির্যাতিতা নারীরা যখন ওসিসিতে চিকিৎসাধীন থাকেন তখন ওষুধ দেওয়ার নাম করে টাকা নেয় হাসপাতালের নার্স পুষ্প। অফিস সহকারী হারুন ওরফে পান হারুন, রেজাউল করীম, মনিরকে টাকা না দিলে এখানের খাবারও মেলে না। সর্বশেষ এসব নির্যাতিতা নারীদের গালমন্দ করে ওসিসি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।’