কঠোর লকডাউনের খবরে বরিশালের বাজারে উপচেপড়া ভিড়

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৭, এপ্রিল ১১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় বরিশালের সাধারণ মানুষের মধ্যে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটা সেরে নেওয়ায় লোকে-লোকারণ্য বরিশালের অধিকাংশ বিপণি বিতান ও রাস্তাঘাট। সড়কে ছিল যানজট। রোববার নগরী ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, চৈত্র মাসের শেষে অঘোষিত মূল্যহ্রাসে নগরীর চকবাজার, পদ্মাবতী ও কাটপট্টি বিপণিবিতানগুলোতে ঠেলাঠেলি করে কেনাকাটা করছেন সাধারণ মানুষ। অধিকাংশ ক্রেতা মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এছাড়াও সদর রোড, গির্জা মহল্লা, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে ভিড় বেড়েছে। এসব এলাকার অস্থায়ী দোকানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করেই চলছে কেনাকাটা। নগরীর কাশিপুর থেকে আসা ক্রেতা ফরিদা বেগম জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে চকবাজারে এসেছেন। সামনে লকডাউন তাই এখনই ঈদের কেনাকাটা করতে বের হয়েছেন বলে জানান তিনি। আরেক ক্রেতা বলেন, সামনে কঠোর লকডাউন। তাই রমজানের খাদ্যসামগ্রী কিনতে ঝুঁকি নিয়ে বাজারে এসেছি। জরুরি কাজ না হলে বের হতাম না। চকবাজারের বিপণিবিতানের বিক্রেতা মাহমুদ হাসান বলেন, গত ঈদেও আমরা ব্যবসা করতে পারিনি। এ বছরও মনে হয় সেই একই পরিমাণ ক্ষতি হবে। এই ক্ষতি কোনোভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে দাবি তার। বরিশাল জনস্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মানুওয়ারুল ইসলাম অলি বলেন, মানুষ ঈদের বাজার করতে শুরু করেছে। অনেক খাবারসহ বিভিন্ন মালামাল রিজার্ভ করছে। আসছে লকডাউন, তাই এই প্রস্তুতি। আর এই প্রস্তুতিই সংক্রমণ ছড়াতে পারে করোনার। এ বিষয়ে প্রশাসন সজাগ থাকলেও মানুষ অসেচতনভাবে এমন ঝুঁকিতে মেতেছে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা মানুষকে নানাভাবে সচেতন করেছি। এখন জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই অভিযান চলছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। কঠোর লকডাউনের খবরে নগরীর বিপণিবিতানগুলোর বিক্রেতাদের মাঝে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে পণ্যসামগ্রী কেনাকাটায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নগরীর সুশীল সমাজ।