জীবিত থেকেও কাগজপত্রে মৃত হওয়ায় বৃদ্ধার দুর্ভোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:১৭, এপ্রিল ১০ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বাস্তবে জীবিত। কিন্তু কাগজপত্রে মৃত বরিশালের মুলাদী উপজেলার ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধা শানু বেগম। এ নিয়ে পদে পদে নানা সমস্যায় পড়ছেন তিনি। সমস্যা সমাধানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিচ্ছেন তিনি। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। পাচ্ছেন শুধুই আশ্বাস। স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শানু বেগম। এদিকে, সমাধানে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত মার্চ মাসের শেষ দিকে মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিধবা ভাতার বিষয়ে খোঁজ নিতে যান শানু বেগম। তখন সেখান থেকে ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় বিষয়টি জানিয়ে তাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পর শানু বেগম জানতে পারেন কাগজপত্রে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। জীবিত থাকার পরও তাকে কিভাবে মৃত দেখানো হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন অফিস। শানু বেগম জানান, গত এক বছর ধরে তিনি বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত। অথচ তার পরিচিতরা সবাই ঠিকমতো বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। কেন তিনি ভাতা পাচ্ছেন না তা জানতে প্রথমে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এবং পরে সেখান থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে যান তিনি। জীবিত থাকা অবস্থায় কাগজপত্রে মৃত দেখানোর বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন শানু বেগম। এ সমস্যার কারণে সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। ভাতা না পেয়ে কষ্টে দিন কাটছে শানু বেগমের। এ ব্যাপারে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মন্টু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান। তবে সমস্যা সমাধানে উপজেলা নির্বাচন অফিস ছাড়া আর কোনও পথ নেই বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে মুলাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শওকত আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বরিশাল জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ শাজেদা বলেন, বিষয়টি অমানবিক। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃস্টান্তমূলক বিচার দাবী করে শানু বেগমের সমস্যা দ্রুত সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী মুঠোফোনে রিং দেয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, তথ্য সংগ্রহকারী বা অন্য কারও ভুলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।