বিজয় নিশ্চিত করে নগরীতে ফিরছেন মেয়র সাদিক

কামরুন নাহার | ২৩:২১, ফেব্রুয়ারি ০২ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর রাজনীতিতে “চমক বয়” মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। রাজনীতিতে নিত্য নতুন চমক দেখানো এই নেতা এবার দেখিয়েছেন ভিন্নধর্মী চমক। নিজের উজ্জলতার আলো ছড়িয়েছেন রাজধানীর দক্ষিন সিটির নির্বাচনী মাঠে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বশীল চমকের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। দলীয় দায়িত্বশীলতার প্রশ্নে মেয়র প্রার্থী ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপসের নির্বাচনী কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন তিনি। দিনরাত এক করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অগ্রজ তাপসকে বিজয়ী রুপে দেখতে। হয়েছেও ঠিক তাই। বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে প্রথম বারের মত মেয়র হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। তাই অক্লান্ত পরিশ্রম স্বার্থক করে আরো একটি বিজয় রচনা করে বিজয়ীর বেশে নগরীতে ফিরছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। দলীয় সুত্রে জানা গেছে, মধ্য জানুয়ারীর দিকে ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনার কাজে আত্মনিয়োগ করতে নিজ দায়িত্ববোধ থেকে প্রায় দেড় হাজার দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা পৌছান সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ব্যারিষ্টার তাপসও অনুজ সাদিককে পেয়ে উল্লাসিত হয়ে বুকে টেনে নেন। কোন সময় ক্ষেপন না করে এই নেতাকর্মীদের ৮৯ টি গ্র“পে বিভক্ত করে নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত করেন। দীর্ঘ অর্ধমাস একটানা বিরতিহীন ভাবে কাজ করেন এই গ্র“প গুলো। নিজে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই টিম গুলোকে সুক্ষ্ম তদারকির কাজও চালিয়ে যান এই নেতা। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের বেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামীকাল নগরীতে ফিরছেন তিনি। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও মেয়র সাদিকের একান্ত সহকারী সুমন সেরনিয়াবাত বলেন ঢাকায় ভোটারের বড় একটা অংশ রয়েছে যারা বা যাদের মূল বরিশাল নগরী বা বৃহত্তর বরিশালের। মূলত আমাদের গ্র“পগুলোর কাজ বা দায়িত্ব ছিলো পরিচিত সেই সব ব্যক্তি বা গোষ্টির কাছে যাওয়া ও ভোট প্রার্থনা করা। পাশাপাশি নির্বাচনে কাজে যখন যে দায়িত্ব অর্পিত হয় তা পালন করা। তিনি বলেন মেয়রের নের্তৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. এ কে এম জাহাঙ্গীর, মহানগর আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলসহ ৪০জন কাউন্সিলর ও সিনিয়র এবং প্রথম সারির নেতারা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ছিলেন। যেকারনে অন্য নেতাকর্মীরাও আনন্দে উজ্জীবিত হয়ে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মেয়র ঢাকায় অবস্থান করলেও নিয়মিত নগরবাসী ও নগরীর সার্বিক কাজের খোজ খবর রেখেছেন।