মামার ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ দুরসম্পর্কের মামা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় ১৫ বছরের এক কিশোরী। অবশেষে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের সাথে বিয়ের পরে ১ এপ্রিল ২১ইং বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যা করেন।
ভোলার চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের বিবরণে এবং অনুসন্ধানে জানা যায়,হাজারীগঞ্জ ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ হারুন এর মেয়ে ঝুমুর (জিকু)কে ৬ /৭ মাস আগে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধর্ষণ করেন একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে কিশোরীর দূর সম্পর্কের মামা মোঃ জুয়েল। ধর্ষক জুয়েলের স্ত্রী ও এক বছর বয়সী সন্তান রয়েছে। ১০ মার্চ ২১ইং কিশোরীর চলাফেরা অস্বাভাবিক মনে হলে মা -বিলকিস রাগ করলে এক পর্যায়ে সব কথা খুলে বলেন কিশোরী। পরবর্তীতে সমাধানের জন্য বিভিন্ন নেতা, ধর্ষকের পরিবার, সমাজকর্মীদের কাছে ঘুরাঘুরি করেন পরিবারটি। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে ১২ ই মার্চ ২১ইং সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিন্তু ততক্ষণে ধর্ষক জুয়েল পালিয়ে যান এলাকা থেকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা অনলাইন মিডিয়া,ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয় ১৩মার্চ ২১ইং।ঘটনা ধামাচাপা দিতে শশীভূষণ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য নান্নু মেম্বারের ছেলে লোকমান মাতাব্বর আইনি সহায়তা নিতে বাধাগ্রস্ত করে জোরপূর্বক ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে ধর্ষক জুয়েলের সাথে বিয়ে দেন কিশোরীর। কিন্তু জুয়েলের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে রাগে অভিমানে কিশোরীর নিজ ঘরের বারান্দায় গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর মায়ের দাবি আত্মহত্যার ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও জুয়েলের সাথে ফোনে কথা বলছিলেন কিশোরী। সঠিক বিচার নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে শশীভূষণ থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন লাশটি উদ্ধার করে আনা হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।