বরিশালে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৩৫, মার্চ ৩১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥  কলেজ ফান্ডের টাকায় নিজের নামে পদক গ্রহণ করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরেছেন জেলার উত্তর জনপদের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কেএম সরিফুল কামাল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিনা রশিদে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন কেএম সরিফুল কামাল। ২০২০ সালে মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরলে গত দশ মাস পর্যন্ত কলেজ বন্ধ রয়েছে। করোনার কারনে কলেজ বন্ধ থাকলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কলেজ ফান্ডের ১০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি (অধ্যক্ষ) শেরে-বাংলা স্মৃতি পদক নিজের নামের পাশে জুড়ে দিয়েছেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে স্নাতক (সম্মান) শিক্ষার্থীদের কোনরুপ সেমিনার না করেই সেমিনার ফি’র কথা বলে কলেজ ফান্ড থেকে ৫১ হাজার টাকা লোপাট করেছেন অধ্যক্ষ। গত এক মাসপূর্বে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ৮৬জন ও অনার্স প্রথম বর্ষের ৪০জন শিক্ষার্থীদের ফরম পূরনের কথা বলে বিনা রশিদে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ’শ টাকা করে আদায় করে নিয়েছেন অধ্যক্ষ সরিফুল। অপরদিকে মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যে কলেজ বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজে উপবৃত্তির ফরম বিতরণ শুরু করা হয়েছে। একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিটি ফরমে তাদের কাছ থেকে ৩০ টাকা শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে নিচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের বেতন বাবদ আদায় করা হচ্ছে এক হাজার চার’শ চল্লিশ টাকা। অথচ উপবৃত্তির প্রথম শর্ত হচ্ছে যেসকল শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির সুবিধায় আসবে তারা বেতন দিবেনা। বেতনের টাকা দেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ফরম দেয়া হয়না বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, কলেজের আয়ের টাকা ব্যাংকের কলেজ একাউন্ডে না রেখে ব্যক্তিগত একাউন্টে রেখে নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করছেন অধ্যক্ষ সরিফুল কামাল। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কেএম সরিফুল কামাল জানান, সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেতন নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু অন্য কোন চার্জ নেয়া হচ্ছেনা। কলেজের টাকায় পদকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এছাড়াও অন্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (অধ্যক্ষ) কলেজে এসে কথা বলার জন্য বলেন। এ ব্যাপারে কলেজ গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কলেজ পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরেও কেউ অনিয়ম করলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।