বরিশালে নৌকা বাইচ ও আতশবাজী উৎসব

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৫৯, মার্চ ২৮ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ১৫ আগস্টের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে নৌকা বাইচ এবং আতশবাজী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই নৌকা বাইচ এবং আতশবাজী উৎসব উপভোগ করেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এবং জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ উদ্যোগে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। বিকেল পৌনে ৫টায় কীর্তনখোলা নদীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু (দপদপিয়া) পয়েন্টে থেকে বাইচ শুরু হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নদী বন্দর পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নদীতে বিভিন্ন নৌকা-ট্রলারে এবং নদীর তীরে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ নৌকা বাইচ উপভোগ করেন। একটি নারী দলসহ মোট ১০টি দল নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করে। বাইচে অংশ নেওয়া ১০টি নৌকার মধ্যে ৩টি নৌকা ডুবে যায়। তবে উদ্ধারকারীরা দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম চালানোয় কেউ হতাহত কিংবা নিখোঁজ হয়নি। বাইচে বরিশাল নগরীর আউয়াল মোল্লার নেতৃত্বাধীন মহেশ্বরীপুরের সুন্দরবন টাইগার প্রথম, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব হোসেন খানের নেতৃত্বাধীন মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রা.) দল দ্বিতীয় এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিনেশ তালুকদারের সোনারতরী দল তৃতীয়স্থান অধিকার করে। বাইচ শেষে সন্ধ্যায় নগরীর বধ্যভূমিতে কীর্তনখোলা নদীর তীরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ৩ দলের মাঝে ১ লাখ টাকা করে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় মেয়রের সহধর্মিণী লিপি আবদুল্লাহ, মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সন্ধ্যার পরপরই কীর্তনখোলা নদীতে একটি লঞ্চের উপরে আতশবাজী উৎসব করা হয়। নানা রঙ ও ধরনের কয়েকশ’ আতশবাজী উৎক্ষেপণ করা হয়। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে হাজারো মানুষ মনোজ্ঞ আতশবাজী উৎসব উপভোগ করেন। এদিকে বাইচ এবং আতশবাজী উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ কারণে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে নৌকা বাইচ এবং আতশবাজী উৎসব। নৌকা ডুবিতেও কোনো ধরনের হতাহত হয়নি বলে জানান মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বরিশালের জনগণকে বিনোদন দেওয়ার জন্যই এই নৌকা বাইচ এবং আতশবাজী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে এই আয়োজন সার্থক হয়েছে। আগামীতে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।