কাউনিয়া থানার দুই এএসআই ক্লোজড

কামরুন নাহার | ২৩:০৮, জানুয়ারি ৩১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ২ পুলিশ কর্মকর্তার। শাস্তিস্বরূপ ওই দুই কর্মকর্তাকে বরিশাল পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর কাউনিয়া টেক্সটাইল মোড় এলাকার কাইউম নামে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১টার পরে শোরুম বন্ধ করে বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে। খাওয়া-দাওয়া শেষে কাইউম পৌনে ২ টার দিকে শোরুমের তালা ঠিকভাবে দেয়া হয়েছ কিনা তা দেখার জন্য বের হয়। পথিমধ্যে রাতে ডিউটিতে থাকা বরিশাল মেট্রোপলিন কাউনিয়া থানার এএসআই উজ্জ্বল কুমার তাকে থামিয়ে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পরে তিনি (কাইউম) শোরুমে যাওয়ার কথা বল্লে এএসআই উজ্জ্বল কুমার তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। কাইউম গাড়িতে উঠলে তাকে নিয়ে বেঙ্গল বিস্কুট ফেক্টরি এলাকায় যায়। ওখানে গিয়ে সবাই চা খান। পরে আবার কাইউমকে গাড়িতে উঠতে বল্লে কাইউম কারণ জিজ্ঞাস করলে ওসি স্যার ডেকেছে বলে থানায় নিয়ে যায় এএসআই উজ্জ্বল কুমার। পরদিন খবর পেয়ে কাইউমের ছোট ভাই নাদিম ও চাচতো ভাই রাকিব থানায় যায়। থানায় গেলেই এএসআই মিজানুর রহমানের সাথে তাদের কথা হয়। তখন এএসআই মিজান ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। নতুবা চুরি বা মাদক মামলায় কাইউমকে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। পরে ৩ হাজার টাকার রফা হয়। নাদিমের কাছে থাকা ২ হাজার দিলে প্রথমে নিতে নারাজ হয়। পরে আরো ১ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিলে কাইউমকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং এই রফার কথা কাউকে জানালে নাদিম ও রাকিবের হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করেন। এবং ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয়।