রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ পাকিস্তান সফরে গিয়ে দুই টি-টোয়েন্টিতে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যায়। দুই ম্যাচে একবারের জন্যও জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। এমনকি জয়ের মতো অবস্থা তৈরি করতেও পারেননি মাহদুল্লাহরা। যেন পাকিস্তানে গিয়ে টাইগাররা অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেও পাকিস্তান গিয়েছিলেন। মাঠে বসেই দেখেছেন বাংলাদেশের নাজেহাল অবস্থা। এমন হতাশার হার যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। দুই ম্যাচেই টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও খুশি হতে পারছেন না নাজমুল হাসান, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, আসলে সিদ্ধান্তটা কে নেয়? টস জিতে ব্যাটিং নেবে কি নেবে না, টস জিতলে কি করবে- এসব সিদ্ধান্ত কে নেয় এটা নিয়ে আমি কনফিউজড। রিয়াদ তো এমনিতেই খুব কম কথা বলে, তারপরও আমি তামিম ও রিয়াদের সঙ্গে প্রচুর কথা বলেছি। প্রথম ম্যাচের পর এমনকি দ্বিতীয় ম্যাচের পরও। গত বুধবার গণমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি বলেন, মাহমুদউল্লাহর অল্পভাষী স্বভাব নিয়ে আমি কিছুটা বিরক্ত। সে খুব কম কথা বলে। আমি তাকে এটি বলেছিও। বলেছি- তুমি দলের অধিনায়ক, তোমার অবশ্যই কথা বলা উচিত। নাজমুল হাসানের মন্তব্য, একজন অধিনায়কের এত কম কথা বললে চলে না। তাদের একটু চটপটে হতে হয়। পাশাপাশি যোগাযোগপটু হতে হয়। দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতে হয়। নাজমুল হাসান বলেন, এই সিরিজে অনেকগুলো উপলব্ধি হয়েছে আমার। প্রথম উপলব্ধি হলো, ১৩০-১৪০ এমনকি ১৫০ রান করেও আজকাল টি-২০তে জেতা যায় না; কিন্তু পাকিস্তানে দুটি টি-২০ ম্যাচে আমরা তার চেয়েও কম রান করেছি। আমার মনে হয়, আমরা উইকেট চিনতে গিয়ে কিংবা উইকেটের আচরণ বুঝতে গিয়েও ভুল করেছি। আমরা প্রথম ম্যাচ ভেবেছি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। কিন্তু পরে দেখা গেছে সে উইকেট স্লো। পরের ম্যাচে ব্যাটিং উইকেট ভেবে আগে ব্যাটিং নিয়ে দেখি উইকেট আদর্শ টি-২০র না।
