আইএইচটি ছাত্রাবাসে ছাত্র মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

কামরুন নাহার | ০১:২৭, জানুয়ারি ২৯ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কঠোর শাস্তি আরোপ হচ্ছে বরিশাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এন্ড টেকনোলজিতে (আইএইসটি) ছাত্র মারধরকারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। একাধিক ছাত্রের বিরুদ্ধে বহিস্কারসহ (অস্থায়ী ভাবে) ছাত্রাবাস থেকে আসন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে শাস্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু জানাতে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আজ দুপুরে তদন্ত কমিটি সুপারিশ ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হবে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ডাঃ সাইফুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ছাত্র মারধরের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সালাউদ্দিন নামের ওই ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় অন্তত ৫ থেকে ৭ জন ছাত্রের সংশ্লিষ্টতার প্রমান মিলেছে। যে কারনে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। তবে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অপরাধীদের প্রথম বার হিসেবে অস্থায়ী ভাবে অর্থ্যাৎ এক সেমিষ্টার বা এক বর্ষের জন্য বহিস্কার হতে পারে একাধিক ছাত্রকে। অন্যদিকে বেশ কয়েকজনকে ছাত্রাবাস থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান আইএইচটির সহকারী পরিচালক ডাঃ হুমাউন কবির বলেন, যেহেতু একটা অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেহেতু অপরাধী তো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় একাধিক ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা আপরাধ বিবেচনা করে শাস্তির সুপারিশ করেছি। উদ্দেশ্য একটাই যাতে করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে কোন ছাত্র যেন সাহস না পায়। আইএইচটির অধ্যক্ষ ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) দুপুর ১ টায় এ বিষয়ে জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সভা শেষে সব কিছু পরিস্কার হওয়া যাবে। তবে এতটুকু বলতে পারি অপরাধ ছোট করে দেখা হবে না। তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করেছে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমি আগেই বলেছি একটা উদাহরন সৃষ্টি করা হবে যাতে কেউ ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়। উল্লেখ্য গত ২৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রাবাসে নিজ রুমে সিনিয়র ৫ ছাত্রের মারধরের শিকার হয় প্রথম বর্ষের (ওল্ড ফাস্ট ইয়ার) ডেন্টাল বিভাগের ছাত্র সালাউদ্দিন। মারধর করে রুমে আটকে রাখলে পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মারধরকারী ওই ছাত্ররা হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রকে এক ধরনের জোড় করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশ প্রদান করে।