অধিগ্রহন নিয়ে সক্রিয় জালিয়াতি চক্র….. ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা প্রকৃত জমির মালিকরা

কামরুন নাহার | ০১:২৫, জানুয়ারি ২৯ ২০২০ মিনিট

কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও চার’শ একর জমির মূল্য পায়নি পটুয়াখালীতে ভ’মি অধিগ্রহনের ক্ষতিগ্রস্থ সাতাশ কৃষক পরিবার। ভূমিদস্যুদের জালিয়াতিসহ মিথ্যা মামলা, ভ’মি অধিগ্রহন শাখার অসহযোগিতাকে এজন্য দ্বায়ী করেছে এসব ভ’মি মালিকরা। জালিয়াতি চক্রের দাপটে হয়রানি ভোগান্তিসহ সর্বস্ব হারানো এসব কৃষক পরিবার। পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্তমানে পার কারছে মানবেতর জীবন। এ চক্রের বিচারসহ জমির মূল্য পরিশোধের দাবীতে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ তারা প্রতিদিন প্রশাসনের দুয়ারে ঘুরেও রেহাই মিলছেনা। সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ কামনা করছে প্রধানমন্ত্রীর। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী’র পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের জন্য ২০১৪ সালে ১ হাজার ২ একর জমি অধিগ্রহন করে সরকার। এতে তিন ফসলি আবাদি জমিসহ বসতভিটা হারায় প্রায় প্রায় দু’শ কৃষক পরিবার। এসব পরিবারকে বিদুৎকেন্দ্রের পাশেই সকল নাগরিক সুবিধা সম্বলিতসহ স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনে পুর্নবাসন করা হয়েছে। প্রদান করা হয়েছে অস্থাবর সম্পতির ক্ষতিপুরন। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ৪’শ একর জমির মূল্য উত্তোলন করতে পারছেন না প্রকৃত জমির মালিকরা। ভুক্তভোগী হালিম তালুকদার বলে, প্রতি তিন শতাংশ জমির মূল্য সতের হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর উপড় অধিগ্রহন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই স্থানীয় ভূমিদস্যুদের সহায়তায় সক্রিয় হয়ে ওঠা বহিরাগত দালাল সিন্ডিকেটসহ চিহ্নিত জালিয়াতি চক্রের মামলায় অধিগ্রহনের আওতাভ’ক্ত পরিবার গুলো নিঃস্ব হওয়ার পথে। ক্ষতিগ্রস্থ অলিউর রহমান বলে, ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের নান্টু খান, খবির খান, হাফেজ গাজী, চিহ্নিত ভ’মিদস্যু দ্বিজেন ব্যাপারী, জগদীশ বেপারী, খোকন ঢ়ারী ভ’য়া ওয়ারিশ দেখিয়ে, একজনের ছবির সাথে অন্যের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ভূমিঅধিগ্রহন শাখায় অভিযোগসহ আদালতে মামলা দিয়ে পাঁচ বছর ধরে তাদের হয়রানি করছে। হয়রানির স্বীকার মুক্তিযোদ্ধা এসএম নাজমুল হুদা বলেন, দ্বিজেন ব্যাপারীর নেতৃত্বে এ জালিয়াতি চক্র বরগুনা জেলার তালতলীর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বিরেন ঘোষ ও রতন ঘোষকে ওয়ারিশ দেখিয়ে তাদের ৪৯ একর জমির আমমোক্তারনামা তৈরি করেছে। প্রকৃতপক্ষে বিরেন ঘোষ ও রতন ঘোষের বাড়ী বরগুনার পাথরঘাটার টর দুয়ারী ইউনিয়নের হোগলপাশা গ্রামে এবং বিষয়ে কিছুই জানেন না। চক্রের মূল হোতা দ্বিজেন ব্যাপারীর প্রস্তাবে বেশ কয়েকবার আপোস মিমাংসার বসা হলেও প্রাপ্য টাকার বড় একটি অংশ দাবী করে সে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিনিধিকে অপোস মিমাংসায় মধ্যস্ততা করার প্রস্তাব দিয়ে দ্বিজেন ব্যাপারী বলেন, জমিতে তার অধিকার রয়েছে। এর মূল্যের একটি অংশ দিয়ে অপোস মিমাংসার জন্য তাদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন আন্তরিক হলেও আদালতে মামলা চলমান থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ ভ’মি মালিকদের জমির মূল্য পরিশোধ করতে পারছেনা ভ’মি অধিগ্রহন শাখা এমন দাবী করে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিবুর রহমান বলেন, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের এখানে কোন জায়গা নেই। ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকরা সরাসরি সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন। অভিযোগ পেলে মাঠে গিয়ে ফয়সালা করার চেষ্টা করছি।