পটুয়াখালীতে কিশোর-কিশোরীর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দু’জন কিশোর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরহাদী গ্রমে বিষপানে মো. সুমন হাওলাদার (১৬) ও বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামারবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে খাদিজা (১৫) আত্মহত্যা করেছে।নিহত মো. সুমন হাওলাদার একই চরের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে।
নিহত সুমনের বাবা আনোয়ার হাওলাদার কাছে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরহাদীর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মিজান বিভিন্ন দফায় তার কাছ থেকে চরের বনে মহিষ চরানোর অজুহাতে ১২-১৪ হাজার টাকা আদায় করেন।
গত সোমবারও বনে মহিষ চরানোর অজুহাতে তার থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করেন ওই বিটকর্তা। ওই বিটকর্তা তার ছেলেকে একবার মারারও চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার দিন বিকালে ওই বিট কর্মকর্তা তাদের মহিষ আটক করেন। আনোয়ার হাওলাদারের দাবি– বারবার মহিষ আটক করায় অভিমানে তার ছেলে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগের বিষয় বিট কর্মকর্তা মিজান বলেন, মহিষ ধরে খড়ে দিয়ে দিয়েছি। এর পর তাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়নি।
অপরদিকে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামারবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে খাদিজা নামে এক শিক্ষার্থী বিষের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খাদিজা ওই এলাকার নুরু গাজীর মেয়ে ও বেগম আরেফাতুনেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খাদিজার চাচা মনির গাজী জানান, ঘটনার দিন খাদিজার সঙ্গে তার মায়ের ঝগড়া হয়। পরে সে অভিমানে বিষের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দশমিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পৃথক ঘটনায় নিহত কিশোর-কিশোরীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’