অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন শেবাচিমের পরিচালক

কামরুন নাহার | ০০:৫৭, জানুয়ারি ২৯ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবৈধ দখলদারদের স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল পরিচালকের নির্দেশনা মাইকিং করে প্রচার করা হয়। এদিকে মাইকিং করে নির্দেশনা দেয়ার পরেও কর্ণপাত করছেনা অবৈধ দখলদাররা। তারা পূর্বের নিয়মেই সরকারি জমিতে গড়ে তোলা স্থাপনা ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে। কোয়ার্টারে প্রবেশের একমাত্র সড়কের দুই পাশ দখলের কারনে স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাসরত কর্মচারীদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জানাগেছে, ‘বছরের পর বছর ধরে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টারে প্রবেশের প্রধান সড়কের দুই পাশে গণপূর্ত বিভাগের জমি দখল করে আছে বহিরাগতরা। সেখানে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে বহিরাগতরা তা ভাড়া দিয়েছে অন্যের কাছে। ভাড়া গ্রহনকারীরা খাবার হোটেল, চা-পানের দোকান, মুদি এবং সেলুন দিয়ে ব্যবসা করছে। ওইসব অবৈধ স্থাপনায় ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগতদের আনা গোনা থাকে। চলে মাদক ব্যবসা। কর্মচারীরা বলে, কলোনীতে প্রবেশ গেট আটকে ভ্যান গাড়িতে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা দাড়িয়ে থাকছে। ভিতরে প্রবেশ করতেই রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য ভ্রাম্যমান হকার বসে চা-পান, ডাবের ব্যবসা করছে। এ কারনে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এ্যাম্বুলেন্স তো দুরের কথা রিক্সা নেয়া যায় না। তারা জানায় ‘কিছু দিন পূর্বে আসলাম নামের যুবক গলায় ফাঁস দেয়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স খবর দেয়া হয়। কিন্তু রাস্তা এবং পাশ^বর্তী জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় এ্যাম্বুলেন্স আর ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। স্থানীয়রা হাতে হাতে ধরে মুল রাস্তায় এনে অটো যোগে তাকে নিয়ে যায় জরুরী বিভাগে ততক্ষনে মৃত্যু হয় আসলামের। অভিযোগ উঠেছে, ‘বহিরাগত আবুল, সুমন, মোসলেম, কাজল এবং আলমগীর সরকারি জমি দখল করে তা বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হোটেল ব্যবসায়ীদের ফেলা আবর্জনার দূর্গন্ধে কলোনীর মানুষের বসবাস দুঃসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। তাছাড়া রাত হলেই হোটেলের ঝাপ বন্ধ করে ভেতরে বসে মাদক এবং জুয়ার আসর। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলে লাঞ্ছিত হতে হয় তাদের। এমনকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেয়নি। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী কোয়ার্টারের অবৈধ স্থাপনা থেকে সুবিধা ভোগ করে। তারাই উচ্ছেদে বাঁধাগ্রস্থ করছে কর্তৃপক্ষকে। তবে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে দৈনিক দেশ জনপদ, আজকের পরিবর্তনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাতে টনক নড়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অবশেষে সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন তারা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় উচ্ছেদ না হলে গুড়িয়ে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ার করে মাইকিং করা হয়েছে।