গলাচিপায় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪৫, ফেব্রুয়ারি ১১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পটুয়াখালীতে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে কার্যালয় ভাঙচুরের পর বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এলাকা ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো। এদিকে, গঠনতন্ত্র মোতাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার। জানা গেছে, গত প্রায় ছয় মাস আগে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে সম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা স্থবির হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে বুধবার জেলা কমিটির সভাপতি মো. হাসান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত গলাচিপা উপজেলা শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে মো. কামরুল ইসলাম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রনি খানের নামসহ সহসভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ২২ সদস্যের কমিটির নাম লিখিতভাবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগ কমিটির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন শেষে সন্ধ্যার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও স্টিলের আলমারির গ্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করে। এর কিছু পরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো অফিসে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীদের অবহিত করেন। সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, যারা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করে, তারা কেমন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে চায়? আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন রাখছি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। শুনতে পেয়েছি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হওয়ায় সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফের নেতৃত্বে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করা হয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অপরাধীদের শাস্তি দাবি করছি।’ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসান সিকদার বলেন, ‘গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ গত প্রায় ছয় মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আসিফ এর আগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক এবং গত কমিটিতে সভাপতি থাকাকালীন পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় করোনাকালীন সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু গঠনতন্ত্র মোতাবেক নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।’ গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ কিছু কর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসের চেয়ার, স্টিলের আলমারির গ্লাস ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।