দেড় যুগ আগে চল্লিশটি নৌরুট সচল থাকলেও এখন বারোটিরও কম
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৮:১৯, ফেব্রুয়ারি ১০ ২০২১ মিনিট
আনোয়ার হোসেন: দেড় যুগ আগে চল্লিশটি নৌরুট থাকলেও সচল রয়েছে বারোটিরও কম নৌরুট। সচল এই রুটগুলোর মধ্যেও বারোমাস লঞ্চ চলাচল করতে পারে তাও অর্ধেকেরও কম।
বরিশাল আন্ত: জেলা এ নৌরুটের এমন বেহালদশা দেখা দিয়েছে নদী পথের নাব্যতা সংকট ও সড়ক উন্নয়নের কারনে। একতলা লঞ্চগুলোর যাত্রীপরিবহন ব্যবসা এখন অনেকটাই হুমকির মুখে। কারন হলো যাত্রী সংকট। এনিয়ে বরিশাল আধুনিক নৌবন্দর কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বরিশালের সাথে অন্যান্য জেলা উপজেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগের এক আমুল
পরিবর্তন হয়েছে পাশাপাশি বিভিন্নধরনের নিত্যনতুন সড়ক পরিবহনও বেড়েছে। স্বল্প সময়ে অল্প খরছে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌছতে পারে।
তবে নাব্যতা সংকট নিরসনে বরিশালের আটত্রিশটি রুটে রক্ষনাবেক্ষন খনন(মেইনন্টেন্যান্স ড্রেজিং) হবে।
অনুন্সন্ধানসুত্রে জানাগেছে, ইলিশা রুটের মতির হাটের পর, পাতারহাট, দশমিনারুটের ধুলিয়া ভারানি, পটুয়াখালির বগা এলাকাসহ বরিশাল আন্ত:জেলার অন্যান্য রুটেও নাব্যতা সংকট রয়েছে। এদিকে, বরিশাল থেকে যাত্রীবহুল রুট ছিলো বরগুনা, পটুয়াখালির কলাপারা, বাগেরহাটের চরদোয়ানি, পিরোজপুরের ভান্ডারি, হুলারহাট, মঠবারিয়া, গোপালগঞ্জের পাটগাতিসহ অন্যান্য রুটগুলোতে ভোর রাত থেকে একতলা লঞ্চগুলো যাত্রী পরিবহন করতো। এই রুটগুলোতে আট থেকে দশ ঘন্টা লেগে যেতো। আর এখন সড়ক উন্নয়ন ও সড়ক বৃদ্ধি এবং নাব্যতা সংকটের কারনে এই রুটে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে অনেক আগেই যেকারনে লঞ্চ ব্যবসা এই রুটে পুরোপুরি বন্ধ হয়েগেছে। তবে বর্তমানে ঢিমে তালে চালু রয়েছে বরিশাল থেকে ভোলা তাও এই রুটটিতে নাব্যতা সংকট রয়েছে। পাশাপাশি স্পিডবোট ও সড়ক যোগাযোগ ভালো থাকায় যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে নৌরুটে। আর এতে লঞ্চ মালিকরাও যাত্রীসেবা উন্নত করতে পারছেনা। এমন চালচিত্র রয়েছে পাতারহাট, চরবিশ্বাস রুটেও। বরিশালের আন্ত:জেলা রুটে একতলা লঞ্চের যাত্রী ব্যবসায় এমন অচলাবস্থার ব্যাপারে লঞ্চ মালিক সমিতির আহ্বায়ক এসপি মাহবুব বলেন, নাব্যতা সংকট না থাকলে লঞ্চ চলাচল আরো নিবিঘ্ন হতো। এতে যাত্রীসেবার মান বাড়ানো সম্ভব হতো। কারন তখন চলাচলে খরচ কমতো। অপরদিকে, ইলিশা রুটের চন্দ্রদিপ লঞ্চের মাস্টার নজরুল বলেন, বর্ষাকালে রুটগুলোতে পানি সংকট থাকেনা কিন্তু শুকনা মৌসুমে খুবই কষ্ট। কারন নদীতে নাব্যতা কম থাকায় এক ঘন্টার পথ যেতে হয় আড়াই ঘন্টায়। পর্যাপ্ত গতিতে চালানো যায়না সোজা না যেয়ে গন্তব্যে ঘুরে যেতে হয়। এতে জ্বালানি খরচা বেড়ে যায় আর সময়ও বেশি লাগে আসাযাওয়া করতে যেকারনে যাত্রীরা বিরক্ত হয়। শুধু তাই নয় ভাড়াও বাড়াতে হয় বাড়তি তৈল খরচের কারনে। এদিকে বরিশাল আন্ত: জেলা রুটের বরগুনা রুটের যাত্রী নেয়ামুল বলেন, লঞ্চে যেতে যে সময় লাগে তাতে গারিতে সময় কম লাগে আর লঞ্চগুলোর পরিবেশও খারাপ। যেকারনে একতলা লঞ্চের যাত্রী হ্রাস পাচ্ছে।