উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দেশ জনপদ ডেস্ক|১৮:৫৬, ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০২১ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাবুগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে নগরীর বান্দ রোডের মেসার্স পিওর এন্টারপ্রাইজের মালিক মিজানুর রহমান রোববার মামলাটি করেন। বিচারক মো. আতিকুজ্জামান তা আমলে নিয়ে পরবর্তী দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন-আরএমও, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এক মেডিকেল অফিসার, উপজেলা বন কর্মকর্তা, বরিশালের সিভিল সার্জন ও বাবুগঞ্জের বাহেরচর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার শফিকুর রহমান খান।
মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য পথ্য, মনিহারি ও বিবিধ সামগ্রী সরবরাহ এবং কাপড় ধোলাই করতে ঠিকাদার নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করেন। ৩১ ডিসেম্বর ঠিকাদার মিজানুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে দরপত্র দাখিল করেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিয়ম-বহির্ভূতভাবে দরপত্রসহ অন্য কাগজপত্র নিজের বাসায় রেখে দেন। সাধারণত দরপত্র দাখিলের পর এক সপ্তাহের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দরপত্র দাখিলের পর ২৮ দিন পার হলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
ঠিকাদার মিজানুর রহমান সর্বনিু দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও তাকে কার্যাদেশ না দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে ঠিকাদার শফিকুর রহমান খানের শর্তাবলীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার পরও নিজ বাসায় বসে আগের তারিখে ফরম ফিলাপ করিয়ে ঠিকাদার মিজানুর রহমানকে দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া থেকে বঞ্চিত করেন। প্রতিষ্ঠানের শর্তাবলী ভঙ্গ করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদার শফিকুর রহমান খানকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে ২১ জানুয়ারি ঠিকাদার মিজানুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩ দিনের মধ্যে তাকে কার্যাদেশ বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে তিনি বরিশালের সিভিল সার্জন বরাবর আপিল করেন। সিভিল সার্জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কোনো প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে মিজানুর রহমানকে শুধুমাত্র মনিহারি ও বিবিধ মালামাল সরবরাহ এবং কাপড় ধোলাই কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করেন। অন্যদিকে শফিকুর রহমান খানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও পথ্য সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেন। এ ঘটনায় রোববার মামলা করেন মিজানুর রহমান।