একে স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক জসিমের বিরুদ্ধে মামলা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:১৩, ফেব্রুয়ারি ০২ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর আছমত আলী খান (একে) ইনস্টিটিউশনের প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহম্মদ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক পলি আফরোজ মামলাটির তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিন (সাময়িক বরখাস্ত) পটুয়াখালী দশমিনার গছানী এলাকার মৃত আব্দুল আলী হাওলাদারের ছেলে নগরীর রুপাতলী গাউছিয়া সড়কের বাসিন্দা। মামলা পরিচালনাকারি আইনজীবী শেখ আব্দুল কাদের জানান, ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এইচএম জসিন উদ্দিন প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ১১ বছরের তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক থাকেন ও বিদ্যালয়ের নামীয় সকল ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেন। তিনি বিদ্যালয়ের আয় ও উন্নয়ন তহবিলের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা দিবেন ও প্রয়োজন হলে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে তা উত্তোলন করবেন। কিন্তু তিনি বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাত করতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে দুটি রেজুলেশন তৈরী করেন। একই সাথে তিনি জাল ভাউচার দিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাত করেন। তিনি গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্সের আনীত ভাড়া থেকে ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, উন্নয়ন তহবিল থেকে সাবেক সভাপতি এড গোলাম মাসউদ চৌধূরী বাবুলের স্বাক্ষর জাল করে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬১ টাকা, গ্রাচুয়িটি তহবিল থেকে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৮ টাকা, বালুর মাঠ থেকে আনীত ৪৮ হাজার টাকা, অনুমোদনবিহীন ভাউচার থেকে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০ টাকাসহ মোট ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৯ টাকা আত্মসাত করেন। পরবর্তীতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আন্ত অডিট কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির অডিটে প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিনের টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হয়। এঘটনায় সভাপতি প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং আত্মসাত করা টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা দেয়ার জন্য তাকে নোটিশ করেন। কিন্তু সাবেক প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিন নোটিশ গ্রহণ না করায় গতকাল মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।