বরগুনায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ-জবাইর পর ৭ টুকরা : ১ জনের ফাঁসি

কামরুন নাহার | ০০:৩৪, জানুয়ারি ২৭ ২০২০ মিনিট

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলীতে ফারিয়া ইসলাম মালা নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে জবাই দিয়ে সাত টুকরা করার দায়ে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে নারী ও শিশু আদালত। একই সাথে এ মামলার এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একজনের সাত বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, নিহত কলেজ ছাত্রী মালার মামাতো ভগ্নিপতি পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালী উপজেলার ভয়াং এলাকার লতীফ খান এর ছেলে আলমগীর হোসেন পলাশ। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রপ্ত আসামি হলেন পলাশের ভাগ্নি জামাই বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল হোসেন বিপ্লব। সাত বছর কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন আইনজীবী মইনুল হোসেন পলাশের সহকারী রিয়াজ। এ ছাড়া আইনজীবী পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও একই আদেশে বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান মৃতদেহ লুকানো চেষ্টার অপরাধে আসামি বিপ্লব এবং পলাশের সাত বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় মালাকে জবাই করে হত্যা করে আসামিরা। পরে আসামীরা মৃতদেহ লুকানোর জন্য মৃতদেহটিকে সাতটুকরা করার পর পানিতে ধুয়ে মৃতদেহ থেকে রক্ত দূর করে দুইটি ড্রামে ভরে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে নিহত মালার ড্রাম ভর্তি সাত টুকরা মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় ওই বাসা থেকেই পলাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন রাতে বিপ্লব এবং পলাশের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, "মালা হত্যা মামলায় আসামি বিপ্লবকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মৃতদেহ লুকানোর দায়ে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে। এছাড়া আইনজীবী বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মৃতদেহ লুকানোর দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। আর পলাশের সহকারি রিয়াজের বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকানোর দায়ে সাত বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এন্যদিকে এ মামলার আমাসি আইনজীবী পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়া তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।