আগামীকাল বরিশালে আসছে করোনার টিকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এসব টিকা সংরক্ষণের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে টিকা দেওয়ার জন্য জেলা, উপজেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে টিকা দিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এখন তাঁরাই স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। একই সঙ্গে টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের বুথ স্থাপন করে সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রাথমিকভাবে ৩৩ কার্টন টিকা আসছে। এতে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ডোজ টিকা থাকবে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২৯ কার্টন বা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ডোজ ৬ জেলায় প্রয়োগ করা হবে। বাকি ৪ কার্টন বা ৪৮ হাজার ডোজ জরুরি প্রয়োজনে সংরক্ষণ করা হবে।
বরিশাল জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ব্যক্তি, পিরোজপুরে ৩৬ হাজার ব্যক্তি, ঝালকাঠিতে ১২ হাজার ব্যক্তি, ভোলায় ৬০ হাজার ব্যক্তি, পটুয়াখালীতে ৪৮ হাজার এবং বরগুনায় ২৪ হাজার ব্যক্তি প্রথম ধাপে টিকা পাবেন।
সূত্র জানায়, প্রতি কার্টনে ১ হাজার ২০০ ভায়েল (শিশি) টিকা রয়েছে। প্রতি ভায়েলে রয়েছে ১০টি ডোজ। প্রাথমিক পর্যায়ে যে ২৯ কার্টন টিকা সরবরাহ করা হবে তার মধ্যে বরিশালে ১৪ কার্টন, পিরোজপুরে ৩ কার্টন, ঝালকাঠিতে ১ কার্টন, ভোলায় ৫ কার্টন, পটুয়াখালীতে ৪ কার্টন এবং বরগুনা জেলায় ২ কার্টন টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ দিয়ে বরিশাল জেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ব্যক্তি, পিরোজপুরে ৩৬ হাজার ব্যক্তি, ঝালকাঠিতে ১২ হাজার ব্যক্তি, ভোলায় ৬০ হাজার ব্যক্তি, পটুয়াখালীতে ৪৮ হাজার এবং বরগুনায় ২৪ হাজার ব্যক্তি প্রথম ধাপে টিকা পাবেন। প্রথম ধাপে ১৫টি শ্রেণির (ক্যাটাগরি) ব্যক্তিরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনার টিকা সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টিকা পাবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছে তারা। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করেছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদদের কমিটিতে উপদেষ্টা করা হয়েছে।