জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ শুরু না হওয়ায় পাঠদান ব্যাহতের আশঙ্কা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:১০, জানুয়ারি ১৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ১৪ মাস আগে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও শুরুই হয়নি বরিশাল নগরীর রূপাতলী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ। যদিও ৬ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিনশেড শ্রেণিকক্ষ ভেঙে দিয়েছে। এ অবস্থায় করোনা সংকটের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে পড়বে বিদ্যালয়টি। ফলে ব্যাহত হবে পাঠদান, এমনটাই আশংকা করছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় বরিশাল সদর উপজেলায় মোট ছয়টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে মহানগর এলাকার বিদ্যালয়ে ছয়তলা এবং মহানগরের বাইরের বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। মহানগরে দুটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে রূপাতলী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুটি ছয়তলা ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। রূপাতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩ টাকায় ছয়তলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছে ‘লায়লা বিল্ডার্স’ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। রূপাতলী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলম গাজী বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য একটি টিনশেড শ্রেণিকক্ষের অর্ধেকের বেশি ভেঙে দিয়ে জমি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ মাসে মাটি পরীক্ষা ও একটি পরীক্ষামূলক পাইল স্থাপন ছাড়া কোনো কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ একই সময়ে কার্যাদেশ পাওয়া কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ অর্ধেকেরও বেশি শেষ হয়েছে বলে হতাশকণ্ঠে বলেন প্রধান শিক্ষক ফিরোজ। তিনি আরও বলেন, করোনা সংকটের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে খুলে দেওয়া হতে পারে। তখন শ্রেণিকক্ষ সংকট প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হবে। রূপাতালী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান তিনি। জানতে চাইলে ঠিকাদার লায়লা বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রানা বলেন, পরীক্ষামূলক পাইল স্থাপনের পর সেটির রিপোর্ট পাওয়ার নমুনা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্ট যথাসময়ে না আসায় তিনি কাজও শুরু করতে পারছেন না।’