বাউফলে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:০১, জানুয়ারি ১১ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী বাউফলের বন কর্মকর্তা আবুল কালামের বিরুদ্ধে রাতের আধাঁরে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার বন প্রকল্পের উপকারভোগী আবদুল জলিল মাস্টার বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সহ ৭/৮ জন লোক কালিশুরী বন্দর থেকে বাহেরচর সড়কের পাশে সামজিক বনায়ন প্রকল্পের শোভাবর্ধনকারী বেশ কিছু মূল্যবান কাছ কেটে ফেলে। গাছগুলো স্থানীয় পরিবহনে করে ট্রলারে ভরার সময় প্রকল্পের উপকারভোগী সমিতির সভাপতি জলিল মাস্টার সহ অন্যান্য সদস্যরা দেখে ফেলে এবং সাথে সাথে গাছ নিতে বাঁধা দেয়। এ সময় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম গাছ ভর্তি ট্রলার নিয়ে দ্রুত গতিতে চলে যায়। পরে বন কর্মকর্তা আবুল কালাম এসে গাছ নিতে বাঁধাদানকারীদের নামে মামলা দেয়া সহ জীবন নাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উল্লেখ করেন আব্দুল জলিল মাস্টার। আবুল কালামের বাড়ী ওই এলাকার চাঁকাঠী গ্রামে। এর আগেও অত্র উপজেলায় বনকর্তার দায়িত্বে ছিলেন এবং ওই সময়ও তার বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ ছিলো। তার সাথে বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী, চোরাকারবারী ও দুষ্টলোকের সখ্যতা আছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা পটুয়াখালী এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে ভয়ে অভিযোগকারী নিরুদ্দেশ আছেন বলে তার পরিবারের দাবী। আব্দুল জলিলের পরিবার আরও জানায় সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সুফলভোগীরা আবুল কালামের মামলা হয়রানীর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। অভিযোগের বিষয়ে বাউফল বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম তার মুঠো ফোনে (০১৭১২০১৫০৮৫)প্রতিবেদককে বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান গাছ জব্দ করে তার (চেয়ারম্যান) দায়িত্বে রেখেছে। যে লোক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে সে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিবেন বলে জানান। অভিযোগের তদন্ত অগ্রগতি বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।