কুয়াকাটা সৈকতে যাওয়ার মূল সড়কটির দোকানীদের দখল পর্যটকের ভোগান্তি
দেশ জনপদ ডেস্ক|২২:১১, জানুয়ারি ০৫ ২০২১ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে যাওয়ার ব্যস্ততম সড়কটির দুই পাশের ফুটপাথ এক শ্রেণির দোকানিরা দখল করে নিয়েছে। ফলে চৌরাস্তা থেকে সৈকতের বেলাভূমে যাওয়া পর্যটক-দর্শনার্থীর দুর্ভোগের শেষ নেই। চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কটির দুই দিকের ফুটপাথসহ সড়কের পাশ দখল করে হোটেল রেস্তোরাঁর চুলা জ্বালানো হয়। ডাবসহ বিভিন্ন চায়ের দোকান বসানো হয়েছে। এমনকি ব্যস্ততম এ সড়কটির ফুটপাথ দখল করে এলপি গ্যাসের ব্যবসা বসানো হয়েছে। ফলে মানুষকে দায় ঠেকে চরম বিপদের শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হয়। জ্যাম লেগে থাকে গোটা সড়কটিতে। দোকানের বর্ধিত অংশসহ সামনের বারান্দা দেয়া হয়েছে ফুটপাথ দখল করে। ফলে দু’টি যানবাহন ক্রস করতে গিয়ে জট লেগে যায়। ব্লক হয়ে যায় সড়কটি।
তখন মানুষ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কুয়াকাটা বেড়িবাঁধের চৌরাস্তা থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটুকুর দুই পাশের ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে না পারলে ভোগান্তি কমছে না। বরং ক্রমশ বাড়ছেই। নিত্যদিনের এই ভোগান্তি এখন স্থায়ী দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত অবধি এই পথ দিয়ে পর্যটকরা চলাচল করতে পারছে না। হোটেল-রেস্তোরাঁসহ চায়ের দোকানের চুলাগুলো ফুটপাথে বসানোয় এমন ভোগান্তি হচ্ছে পর্যটকের। স্থানীয় বহু দোকানি এমনভাবে ফুটপাথ দখল করে নিলেও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এসব উচ্ছেদে কার্যকর কোন ভূমিকা নেয়নি। পর্যটক-দর্শনার্থীরা বলেছেন গ্যাসের এই চুলার বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেড়িবাঁধের রিভার সাইডের এসব দোকানিকে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলাকালে এক বছর আগে এসব স্থাপনা অপসারণের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু স্থাপনাগুলো অপসারিত হয়নি। পূর্বদিকের স্থাপনা একবার অপসারণ করা হলেও ফের তোলা হয়েছে। বর্তমানে এসব হোটেল-রেস্তোরাঁসহ রাস্তার ফুটপাথের দিকের দখলদার অপসারণ করা প্রয়োজন। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য ছাড়াও পর্যটকের স্বস্তিতে চলাচলে রাস্তার পাশ থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁর চুলা বন্ধ করা প্রয়োজন। এমনিতেই চৌরাস্তা দখল করে বাসস্ট্যান্ড করা হয়েছে। রাস্তায় বাস রেখে যানজট করা হয়। তার উপরে ফুটপাথ দখলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, শীঘ্রই এসব অব্যবস্থাপনা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।