শীতার্থদের পাশে বরিশাল জেলা প্রশাসন

কামরুন নাহার | ২৩:৪১, জানুয়ারি ২৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সত্তর হাজার কম্বলের উষ্ণতা শীতার্থদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনে এ উষ্ণতা প্রদাণ অব্যাহত থাকার কথাও জানা গেছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দশটি উপজেলায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে শীতার্তদের কম্বল। শুধু তাই নয়, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গভীর রাতে বরিশাল লঞ্চঘাট, নথুল্লাবাদ ও নগরীর জনবহুল স্পটগুলোতে ঘুরে ঘুরে ভাসমান হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান। সুত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে সরকারি শিশু পরিবার ও সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুদের মাঝে পাঁচ শতাধিক কম্বল প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ১ হাজার ৪শ’ কম্বল অসহায় শীতার্ত মুক্তিযোদ্ধার মাঝে বিতরন করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এ্যাসোসিয়েশন ও ছাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ শতাধিক দুঃস্থ অসহায় শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে এবং শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২’শ জন শিশু নিবাসিদের মাঝে কম্বল এবং শীতের পোষাক বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতেও যথাসাধ্য পরিমাণে কম্বল দেয়া হয়েছে শীতার্তদের জন্য। একটু উষ্ণতা হতদরিদ্র শীতার্তদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শীতের শুরুতেই কম্বল বিতরণে বেশ সক্রিয় ভুমিকা রেখেছে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি কম্বলের সাইজ ছিল ছয় ও সাত ফুট। এক কথায় স্ট্যান্ডার্ড সাইজের মোটা কম্বল। শীতের শুরুতেই কম্বল পৌঁছে দেয়া হয় উপজেলাগুলোতে। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, ইতিমধ্যে জেলার ওয়ার্ড পর্যায়ে হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার কালক্ষেপনের সুযোগ ছিলো না। আর ইউনিয়নগুলোর ওয়ার্ড তালিকা বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই শেষে কম্বল দেয়া হয়েছে। কারণ অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের জন্যই মুলত প্রধানমন্ত্রির ত্রাণ তহবিল থেকে এ কম্বল দেয়া হয়েছে তাই আমরাও এ বিষয়টিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। যাতে কোন স্বচ্ছল ব্যক্তির কাছে এ কম্বল না পৌঁছায়। শুধু তাই নয়, এখনও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানার পর যদি দেখি, কোন হতদরিদ্র শীতের তীব্রতায় কষ্ট পাচ্ছে ঠিক তখনই আমরা জরুরী ভিত্তিতে কম্বল পৌঁছে দিচ্ছি। এ কাজটি দ্রুত গতিতে করার জন্য ত্রান অফিসারকে বিশেষভাবে সর্তক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া শীতের তীব্রতার প্রেক্ষিতে জরুরী প্রয়োজনে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে দাড়ানো হবে। একজনও হতদরিদ্র যেনো শীতে কষ্ট না পায়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।