রির্পোট দেশ জনপদ ॥ আগামীকাল (রোববার) বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ছয়’শ কোটির বেশি টাকা ব্যাংকে জমা দেবে। আর চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউট ছয়মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা দেবে বাংলাদেশকে। ছয়’শ কোটির বেশি টাকা ব্যাংকে জমা দিলেও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ৫ ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৪২৫ টাকা খরচে পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ায় অনেক দেশের তুলনায় কম দামে অল্প সময়ে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ৫ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৪২৫ টাকা) খরচে পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শিগগিরই অনুমোদন দেবে। এই ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রায় ৬ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের অর্ডার নিশ্চিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো অর্ডার দেয়া হবে। আর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ৩ কোটি ডোজই পাওয়া যাবে; যার প্রথম চালানে আসবে ৫০ লাখ ডোজ।
প্রথম চালানের ভ্যাকসিন কাদের প্রথম দেয়া হবে, সে বিষয়ে তালিকা প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। ভ্যাকসিন দেয়ার পরও মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। চলতি মাসেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রোববার বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ছয়’শ কোটি টাকার বেশি টাকা জমা দেবে ব্যাংকে। বিনিময়ে সেরাম ইন্সটিটিউট একটা ব্যাংক গ্যারান্টি দিবে। ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউট অগ্রিম টাকা হিসেবে এটা নেবে এবং বাকি টাকা টিকা সরবরাহ শুরু করার পর দেয়া হবে।
তবে চুক্তির ধারা অনুযায়ী তারা যদি আগামী জুনের মধ্যে টিকা দিতে না পারে তাহলে বাংলাদেশে অগ্রিম এই টাকা ফেরত নেবে। এরআগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় এই কাজ হচ্ছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, যেকোনো টিকার দুটি দিক রয়েছে। একটা টিকা দেশে আনা এবং দ্বিতীয় হল ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া। এটার ব্যাপারে আইনি অনেক বাধ্যবাধকতা আছে, অনেক রকম আইন আছে আপনারা জানেন। তবে এটা যাতে সরাসরি ক্রয় করা যায় সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুমোদন দিয়েছেন।