বেতাগীতে সর্বপ্রথম ইভিএমে ভোট, শঙ্কায় ভোটারা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামীকাল ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন। বরগুনার বেতাগীতে এবার প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহন করা হবে। প্রথম ধাপে নতুন এ ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় বৃদ্ধ ও স্বল্প শিক্ষিত ভোটাররা। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের ব্যাপারে সাধারণ ভোটারদের মাঝে রয়েছে নানা শঙ্কা। মাত্র কয়েকঘন্টার জন্য পৌরসভার ৯ টি সেন্টারে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সাধারণ ভোটারদের হাতে-কলমে ইভিএমে ভোট দেওয়া পদ্ধতি মক (পরীক্ষামূলক) ভোটিংয়ের মাধ্যমে শেখানো হলেও তাতে তেমন সুফল হয়নি বলে মনে করছেন বেতাগী পৌরবাসী।
রোববার সারাদিন নির্বাচনি তথ্য সংগ্রহে বেতাগী পৌরসভার ভোটার,নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থী ও দায়িত্বরত কমর্কতাদের সাথে কথা বললে তারা জানান,ডিজিটাল পদ্ধতিতে যদি ভোট চুরি করা হয় তবে আমাদের ভোটতো মূল্যহীন। পৌর ঢালীকান্দা এলাকার বাসিন্দা নিতাই ঢালী বলেন, আগে আমরা ব্যালটে সিল দিয়ে ভোট দিয়েছি। এখন কিভাবে দিতে হবে জানি না। কেউ শিখিয়েও দেয়নি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বেতাগী পৌর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, তরুণ প্রজন্ম ইভিএম এ ভোট দিতে পারলেও বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ ভোটাররা বিষয়টি বুঝবে না।
প্রচারনার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাওয়া প্রার্থীরা তারাও বলছেন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন এটি সম্পর্কে একেবারেই অনভিজ্ঞ স্থানীয় ভোটাররা। নতুন ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে অনিশ্চিত বোধ করছেন স্থানীয়রা। তবে কারো বক্তব্য আবার ভিন্ন তারা বলছেন প্রার্থী যদি যোগ্যতা সম্পন্ন হয় তবে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং যোগ্য ব্যাক্তিকে ভোট দিবেন।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, জনবহুল স্থানে ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের মাঝে ধারণা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুরোদমে আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আজ রবিবার আমরা প্রতিটি সেন্টারে মালামাল বুঝিয়ে দিয়েছি। আমি আশাবাদী একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বেতাগী পৌরসভায় ৯ হাজার ২৭৭ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৫৪২ জন, নারী ভোটার ৪ হাজার ৭৩৫ জন।
বরগুনা জেলা রিটার্নিং অফিসার দিলিপ হাওলাদার জানান, ইভিএমে ভোট গ্রনের জন্য ১০ জন প্রিজাইডিং ৪৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ৮৬ জন পুলিং অফিসারকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রশাসনের কড়া নজরদারীর মধ্যদিয়ে একটি সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবো।