আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া হানাদার মুক্ত দিবস

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:৫৮, ডিসেম্বর ২১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামীকাল ২২ ডিসেম্বর বরিশালের আগৈলঝাড়া-গৌরনদী উপজেলা পাক হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশ শত্রুমুক্ত হযে বিজয় উল্লাশ করলেও বিজয় দিবসের ৬দিন পর ২২ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়ে বিজয় পতাকা উড়েছিল বরিশালের আগৈলঝাড়া-গৌরনদীতে। মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ার‌্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত জানান, দীর্ঘ ২৮দিন মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমণের পর বাধ্য হয়ে ২২ডিসেম্বর শতাধিক পাকসেনা মিত্রবাহিনীর কাছে গৌরনদী কলেজ মাঠে আত্মসমর্পণ করেছিল। ফলে বাংলাদেশের সর্বশেষ হানাদারমুক্ত এলাকা হল আগৈলঝাড়া-গৌরনদী। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৯বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে এখনও সরকারী উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্মের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা নির্বিচারে হাজার হাজার লোক হত্যা করে এই এলাকায়। ৩শতাধিক মা-বোনের ইজ্জৎ হারাতে হয়েছিল তাদের হাতে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এলাকায় সর্ব প্রথম আব্দুর রব সেরনিয়াবাত উদ্যোগ নিয়ে গঠন করেন স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। পররবর্তিতে তার পরিচালনা করেন এ্যাড. আ. করিম সরদার, মতিয়ার রহমান তালুকদার, নুর মোহম্মাদ গোমস্তা। বরিশালে দক্ষিনাঞ্চলীয় মুজিব বাহির প্রধান ছিলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, গৌরনদী এলাকায় যুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন রকিব সেরনিয়াবাত। তার সহযোগী ছিলেন ফজলুর রহমান হাওলাদার ও মেজর শাহ আলম তালুকদার। বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ১৬ ডিসেম্বরের পূর্বে আত্মসমর্পণ করলেও এ এলাকায় পাকসেনারা দীর্ঘ ২৮দিন যুদ্ধের পরে ২২ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর কাছে ৩জন পাকিস্তানী মেজরসহ সৈনিকেরা আত্মসমর্পণ করে। যে কারণে এই দিনটি আগৈলঝাড়া-গৌরনদী হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।