মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ মা। এক অক্ষরের একটি শব্দ। কিন্তু তাৎপর্য ব্যাপক। জগতে মায়ের সঙ্গে অন্য কেউ তুলনীয় নয়। মায়ের সঙ্গে সন্তানের যত স্মৃতি অথবা সন্তান নিয়ে মায়ের অমলিন স্মৃতির কোনো তুলনা হয় না। তাই এই মমতাময়ী মাকে সম্মান জানাতে মঠবাড়িয়ায় বিদ্যালয় আঙিনায় সমবেত ৯০০ মায়ের পা ধৌত করে সম্মান জানালো শিক্ষার্থী সন্তানরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজ এর উদ্যোগে মাঠে এ ব্যতিক্রমী মা সমাবেশ হয়। এতে ৯০০ শিক্ষার্থীর মা, শিক্ষক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট কবি ও কথা সাহিত্যিক শামীমা সুলতানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে বিদ্যালয়ের সম্মূখ মাঠে ৯০০ মাকে সাড়িবদ্ধভাবে চেয়ারে বসিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ মায়ের পা ধৌত করে মুছে দিয়ে মাকে সম্মান জানায়। এসময় সকল মায়েরা তার সন্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য সু-নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ার জন্য দোয়া করেন। ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানস্থলে এসময় এক আবেগঘনময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পৃথিবীতে সৌভাগ্যবান তিনি, যিনি মায়ের আদর, মায়া-মমতা ও স্নেহ-পরশে বড় হয়েছেন এবং মাকেই সবকিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদা দিয়েছেন। সন্তানের সুখের জন্য মায়ের ত্যাগ ও কষ্টের কোনো তুলনা নেই। অতএব মাকে কখনো অবজ্ঞা করা যাবে না। অসম্মান করা যাবে না। মায়ের অধিকার রক্ষা করেই মহত্ত্ব অর্জন করতে হবে। কারণ পৃথিবীতে মহৎ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একজন সুমাতার অবদানই সবচেয়ে বেশি। শ্রেষ্ঠ মানুষেরা কখনো তাদের মাকে অমর্যাদা করেননি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন, প্রবাসি যুব নেতা মিজানুর রহমান মিলন, শিক্ষক আব্দুল হামিদ ও চিত্ত রঞ্জন হালদার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রোকনুজ্জামান শরীফ, রোজিনা আক্তার, সুরাইয়া আক্তার সেলিনা, সাংবাদিক ফারুক হোসেন খান, শিক্ষিকা কিরণ প্রভা রায়, পারভেজ তালুকদার, শিক্ষার্থী সুরাইয়া মিম ও ইমরান হোসেন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অতিথি ও সমবেত মায়েদের ফুল দিয়ে বরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।