রির্পোট দেশ জনপদ ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চাঁদের পৃষ্ঠে নিজেদের পতাকা স্থাপন করেছে চীন। চাঁদের পৃষ্ঠে নিজেদের পতাকার ছবি প্রকাশ করেছে চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন।
বিবিসির শনিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার চাঁদের পাথরের নমুনা নিয়ে ফেরার আগে চীনের মহাকাশ যান ‘চ্যাংই-৫’ এর ক্যামেরা দিয়ে চন্দ্রপৃষ্টে পতাকার ওই ছবিগুলো তোলা হয়েছে।
১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার চাঁদে কোনো দেশের পতাকা স্থাপন করে। পরে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের আরও পাঁচটি পতাকা চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপন করা হয়।
স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির বরাত দিয়ে ২০১২ সালে নাসা জানায় যে ওই পাঁচটি পতাকা এখনও রয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা সূর্যের তীব্র রশ্মিতে সেগুলো এতদিনে সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।
চীনের সরকারি পরিচালনায় প্রকাশিত দৈনিক গ্লোবাল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো মিশনের সময় অনুভূত হওয়া ‘উত্তেজনা ও অনুপ্রেরণার’ কথা মনে করিয়ে দেয় চীনের পতাকাটি।
চীনের পতাকাটি দুই মিটার চওড়া এবং ৯০ সেন্টিমিটার লম্বা বলে গ্লোবাল টাইমসকে জানিয়েছেন প্রকল্পটির নেতৃত্ব দেয়া চীনা মহাকাশ বিজ্ঞানী লি ইয়ুনফেং। চ্যাংই-৫ চাঁদের পৃষ্ঠের মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়েছে।
চীনের প্রথম চন্দ্রাভিযানে যাওয়া মহাকাশযান চ্যাংই-৩ থেকে তোলা ছবিতে চাঁদের পৃষ্ঠে প্রথমবার চীনের পতাকা দেখা যায়। ২০১৯ সালে চ্যাংই-৪ মহাকাশযান চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠেও চীনের পতাকা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তবে কোনোবারই আক্ষরিক অর্থে কাপড়ের তৈরি পতাকা ছিল না। মহাকাশযানের পৃষ্ঠে আঁকা চীনের পতাকার ছবি তোলা হয়েছিল ওই সময়। উল্লেখ্য, চ্যাংই-৫ মিশন সাত বছরের মধ্যে চীনের তৃতীয় সফল চন্দ্র অভিযান।