সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

কামরুন নাহার | ২০:১৭, জানুয়ারি ২০ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ সরকারি চাকরিতে এক থেকে নবম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে দেয়া হলেও দশম গ্রেড থেকে কোটার সুযোগ থাকবে বলে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপত্বিতে মন্ত্রিসভায় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মন্ট্রিল কনভেনশন অনুসরণ করে আকাশ পথে পরিবহন আইন-২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে এখন থেকে ২০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার স্থলে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রিসভার শুরুতেই আইসিটিতে ভিয়েতনামের প্রতিযোগিতায় পাওয়া অস্কার খ্যাত এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসহ ৩টি পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদিকে গত বছর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ প্রান্তিক বা শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর) বৈঠক হয়েছে ৯টি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে ৯৭টি এবং বাস্তবায়ন হয়েছে ৭৩টি। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার শতকরা হিসেবে ৭৫.২৬ শতাংশ। আর বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্ত রয়েছে ২৪টি। শতকরা ২৪.৭৪ শতাংশ বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে দু’টি নীত এ কর্ম কৌশলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক হয়েছে ৫টি। এছাড়া সংসদে আইন পাস হয়েছে তিনটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামো অনুযায়ী মোট ২০টি গ্রেড রয়েছে। এর প্রথম গ্রেডে অবস্থান করেন সচিবরা। আর প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে যারা নিয়োগ পান তাদের শুরুটা হয় ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের মধ্যে। একজন গেজেটেড বা নন গেজেটেড প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ৯ম গ্রেডে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ও শর্ত সাপেক্ষে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা অর্থাৎ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিধান ছিল। শুধু তাই নয়, সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা তুলে দেয়ার পর এবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি চাকরিতে শর্ত সাপেক্ষে কোটা তুলে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা সংরক্ষণ করা হবে না। আগে নিয়ম ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির কোটায় যোগ্য চাকরি প্রার্থী না পাওয়া গেলে ওই পদে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে শূণ্য রাখা হতো। ওই পদে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে পদগুলো সংরক্ষণ করা হতো। এখন যদি কোটার কোনো যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় তাহলে জেলার সাধারণ মেধাবীদের মধ্যে যারা মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে পূরণের বিধান চালু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।