দাঁড়িয়ালে মাদকের বিষ ছড়াচ্ছে সঞ্জয়, আছে আরো অপকর্ম

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:৪৫, নভেম্বর ২৬ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। গ্রামের উঠতি বয়সি যুবকদের মাঝে মাদকের বিষ ছড়াচ্ছে সঞ্জয় মিস্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের মধুকাঠি গ্রামের বিমল মিস্ত্রী (ইঞ্জিনিয়ার) ছেলে সঞ্জয় মিস্ত্রী(৩৮) তার নিজ বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী দুধল ইউনিয়নে মাদকের আসর বসান, এতেকরে ধ্বংস হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া কিশোর যুবক। সম্প্রতি সঞ্জয়ের মদের বোতল হাতে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে এলাকায় শুরু হয় জানাজানি। প্রায় ১০ বছর আগে বহু অপকর্মে জর্জরিত হয়ে রাতের আধারে ভোলা শহর থেকে স্ব-পরিবারে পালিয়ে এসে গ্রামের বাড়ি মধুকাঠিতে স্থান গড়ে বিমল ইঞ্জিনিয়ার ও ছেলে সঞ্জয় মিস্ত্রী। তারপর থেকেই গ্রামে মাদকের বিস্তার ছড়িয়ে দেয় সঞ্জয়, ঐ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন সঞ্জয় নিজে গাঁজা ও মদে আসক্ত তাই নিজে খায় ও গ্রামের ছেলেদেরও মাদকের আসক্ত বানাচ্ছে। অনেকটা সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের বিস্তার করলেও শেষ রক্ষা হয়নি, গাঁজা ও মদের বোতল হাতে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন সঞ্জয় ও তার বাবা বিমল ইঞ্জিনিয়ার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, সঞ্জয় তার বাড়িতে ও দুধল ইউনিয়নে ডিস ব্যবসার আড়ালে মাদকের নিরাপদ ঢেরায় পরিনত করেছে, গ্রামের অনেক ছেলেরাই সঞ্জয়ের ছত্রছায়ায় মাদক সেবন করছেন নিরাপদে। তাই গ্রামবাসীর দাবী সঞ্জয় মিস্ত্রীর মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় নিয়ে যথাযথ শাস্তি দানের। শুধু মাদক-ই নয় আছে আরো বহু অপকর্মের ফিরিস্তি। মন্দিরের টাকা আত্মসাৎ, মানুষকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতানো, দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত এসকল বিষয়ে বাবা ছেলে প্রতারকের ডিগ্রি ধারী পুরাতন। অভিযোগ কারী সূত্রে জানা যায়, মধুকাঠি মিস্ত্রি বাড়ির মন্দিরের কাজের জন্য বরিশাল জেলা পরিষদ ১৮-১৯অর্থ বছরে রাজস্ব তহবিলের আওতায় গৃহিত প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকা অনুদান আসে । সেই টাকার ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সঞ্জয় মিস্ত্রী এবং মন্দিরের কোনো কাজ না করেই টাকা হজম করে সঞ্জয়। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে সঞ্জয় মিস্ত্রী বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় জেলা পরিষদে লিখিত অভিযোগকারী কিশোরকে। ভুক্তভোগী কিশোর বলেন বাড়ির মন্দিরের কাজের জন্য জেলা পরিষদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়, সেই টাকার ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সঞ্জয় মিস্ত্রী মন্দিরের কোনো কাজ না করেই টাকা হজম করে আমি সেই ঘটনায় লিখত অভিযোগ দিলে প্রতিনিধিরা সঞ্জয় আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।