মাদকের ৩ মামলায় ৬ জনের সাজা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:৪০, নভেম্বর ১৫ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে মাদকের পৃথক ৩ মামলায় ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে দুই আদালত। গতকাল রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলাম একটি এবং জননিরাপত্তা  অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শহীদ আহম্মেদ তিন মামলায় আসামীদের উপস্থিতিতে সাজা দেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেদায়েতুন নবী জাকির জানায়, ৪ শ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে রুপাতলী মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ মৃত্যু আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ছেলে আল আমিন ওরফে তরকারি আল আমিন ও তার স্ত্রী কল্পনা আকতারকে ৮ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৪শ’ পিস ইয়াবা সহ ২০১৭ সালের ১২ মার্চ তাদের বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এসআই নূরে আলম মামলা দায়ের করলে তদন্তে সত্যতা পেয়ে ডিবি পরিদর্শক আশীষ পাল ৩০ মে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১২ জনের স্বাক্ষ্য দিয়ে আসামীদ্বয়কে অপরাধী প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। অপরদিকে জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জানায়, ৫৩ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম শেওড়া এলাকার রহম আলী বেপারীর ছেলে মনিরুজ্জামান বেপারীকে ৭ বছর কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারী গৌরনদী থানা পুলিশ তার বাড়ির সামনে থেকে মাদক সহ আটকের পর এসআই মাজহারুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। এস আই মুজাহিদুল ইসলাম একমাস তদন্তে সত্যতা পেয়ে ১৯ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলে রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জনের স্বাক্ষ্য দিয়ে আসামীকে দোষী প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। একই আদালত অন্য এক মামলায় আড়াইশ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে একই উপজেলার দক্ষিণ বাটাজোড় এলাকার আলাউদ্দিন বেপারীর ছেলে মনির বেপারীকে ১০ বছর কারাদন্ডসহ দশ হাজার টাকা জরিমানা, ২শ’ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে মৃত্যু মতিউর রহমান সরদারের ছেলে জামাল সরদারকে ৭ বছর কারাদন্ডসহ সাত হাজার টাকা জরিমানা এবং একশ গ্রাম গাজা রাখায় ৩ মাস কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭০ পিস ইয়াবা রাখায় দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া এলাকার তোতা মিয়া সরদার ওরফে হাত কাটা তোতার ছেলে জাকির সরদারকে ৫ বছর কারাদন্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ৮ মে জামাল সরদারের বাড়ি হতে তাদের আটক জেএমবি গৌরনদী থানা পুলিশ। এসআই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে তদন্ত শেষে থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ১২ জনের স্বাক্ষ্য দেয়। স্বাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত আসামীদের সাজা দেন। রায়ের সময় মনির বেপারী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। উপস্থিত বাকি আসামীদের সাজাভোগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।