বরিশাল পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হাসপাতালের ২ কর্মীর দায় স্বীকার
দেশ জনপদ ডেস্ক|২৩:১১, নভেম্বর ১৫ ২০২০ মিনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম হত্যা মামলায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের দুই কর্মী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালটির রাঁধুনী মাসুদ ও ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ পাল গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমানের কাছে দুজনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই দিন আরেক মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ মামলার আরেক আসামি মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা তুজ-যোহরা ময়নাকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর মাসুদ ও অসীমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে মারা যান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারি কমিশনার (এএসপি) আনিসুল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আনিসুল উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। ঘটনার পর হাসপাতালের ‘অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে’ আনিসুলকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, আনিসুলকে ৬ থেকে ৭ জন মাটিতে ফেলে চেপে ধরে আছেন, দু’জন তকে কনুই দিয়ে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদও তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ পরদিন গণমাধ্যমকে বলেন, ৮-৯ জন লোক মিলে আনিসুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করন। তারা সবাই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার। আনিসুলের মৃত্যুর পর তার বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ মোট ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাঁধুনী মাসুদ ও ওয়ার্ডবয় অসীমসহ ১০ আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণু প্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। এক সন্তানের জনক আনিসুল পারিবারিক ঝামেলার কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে ঢাকার আদাবরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।