বরিশালে মাঝরাতে লঞ্চ থেকে স্কুল শিক্ষিকার নদীতে ঝাঁপ

প্রত্যক্ষদর্শী সুন্দরবন লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানায়, লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় পেছনের অংশে বাম পাশে স্থান নিয়ে মুক্তা তার মা ও খালার সাথে কথা বলছিলেন। এসময় আকস্মিক তাকে উত্তেজিত হয়ে দৌড় দিয়ে নদীতে পড়ে যেতে দেখা যায়। সাথে সাথে লঞ্চটি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং নারীকে খুঁজতে শুরু করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে লঞ্চের স্টাফরা মাইকিং করে নারী পড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ জানান, রাত ১০টার দিকে নারী ঝাঁপ দেওয়ার পর অন্তত ঘণ্টাখানেক লঞ্চটি থামিয়ে তার সন্ধান করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ব্যর্থ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে চলে আসতে হয়েছে। তবে এর আগে স্থানীয় জেলেদের উদ্দেশ করে মাইকিং করে নারী সন্ধানে অনুরোধ রাখা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে খবর আসে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে জেলেরা। বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলেরা নারীকে উদ্ধারের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বর) জুয়েলের হেফাজতে রেখেছেন। এবং প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে নারীকে তাদের স্বজনেরা মেম্বরের কাছ থেকে বুঝে নিবেন।’