পেঁয়াজের ঝাঁজ কমলেও অস্থির সবজির বাজার

কামরুন নাহার | ০০:১৯, জানুয়ারি ১৮ ২০২০ মিনিট

আনোয়ার হোসেন ॥ বাজারে দেশি পেঁয়াজের মূল্য কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বরিশালের বাজারগুলোতে পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে কমেছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য সামান্য বেড়েছে। একইসঙ্গে চালের মূল্য বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেল ও ডালের মূল্যও। গতকাল পোর্ট রোড ও চৌমাথা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। একইভাবে সবজির বাজারেও কোনও স্বস্তি নেই। বাজারগুলোতে শিম, টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম পর্যাপ্ত থাকার পরও মূল্য বেশ চড়া। বেশ কয়েকটি সবজির মূল্য গত সপ্তাহের তুলনায় নতুন করে বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা কেজি দরে। বেশ কিছু দোকানে ৯০ টাকা কেজি দরেও এই পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে এই পেয়াজ বিক্রি হয় প্রতিকেজি ১শ ৫০ থেকে ১শ ৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে এই পেঁয়াজের মূল্য আরও কমবে। তবে, ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পেঁয়াজের মূল্য অনেক বেশি। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক বছরে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৩০৪ শতাংশ। আর এক বছরে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৩৭৮ শতাংশ। গত বছরের এই দিনে (২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি) এককেজি দেশি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ২২ টাকা। একইদিন এককেজি আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ছিল ২০ টাকা। এদিকে, বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শসার দাম দ্বিগুণ বেড়ে এখন ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, করলা ও পাকা টমেটো ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন গোল আলু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এছাড়া বেগুন, শিম, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় চালের মূল্য বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি নাজির বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চালের মূল্য ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর ভালোমানের নাজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এই চাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি মানের চালের মূল্য এখন ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। গত সপ্তাহে এই চাল বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মূল্য বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই সয়াবিন তেল ৯১ থেকে ৯৩ টাকা লিটার বিক্রি হয়। এদিকে ক্রেতা আব্দুল হালিম জানায়, মুল্যবৃদ্ধি যেন আমাদের পিছু ছাড়ছেনা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো আমাদের পিছু লেগেই রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতা বাজার মনিটরিং কমিটিকে দায়ী করেছেন। মুল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ক্রেতা সাধারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।