গরুর দুধের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর তেলাপোকার দুধ

কামরুন নাহার | ০০:১১, জানুয়ারি ১৬ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ ঘরে তেলাপোকার উপদ্রব খুবই বিরক্তিকর। এটি শুধু বিরক্তিকরই নয়, নানারকম অসুখের কারণও। তবে এই ক্ষতিকর পোকারও নাকি রয়েছে বিশেষ গুন! একটি বিশেষ প্রজাতির তেলাপোকার দুধের পুষ্টিগুণ গরু দুধের চেয়েও অনেক বেশি। একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এই গবেষণাপত্রের খোঁজ নেটিজেনরা পাওয়ার পর থেকেই এমন বিচিত্র আবিষ্কার নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গবেষকদের দাবি, তেলাপোকার দুধে রয়েছে সুস্বাদু মিল্ক ক্রিস্টাল। কেবল সুস্বাদুই নয়, তার গুণাগুণও অনেক বেশি। গরু বা মোষের দুধের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি। এই বিশেষ প্রজাতির তেলাপোকার নাম প্যাসিফিক বিটল ককরোচ। এই তেলাপোকার শরীরে উৎপন্ন হয় দুধ। গবেষক দলের মতে, তেলাপোকার দুধে প্রাপ্ত ক্রিস্টালে প্রোটিন, ফ্যাট, সুগার তো আছেই। এছাড়া রয়েছে অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিডও। তবে এই তেলাপোকা কিন্তু বাড়ির কোণে ঘুরে বেড়ানো তেলাপোকা নয়। এটি একটি বিশেষ প্রজাতির তেলাপোকা। অন্য তেলাপোকার মতো এরা ডিম পেড়ে বংশবিস্তার করে না। এরা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মতো বাচ্চা প্রসব করে। এই ধরণের পোকা অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, এই তেলাপোকার শরীরে উৎপাদন হয় বিরল দুধের স্ফটিক। সেই থেকেই তৈরি হয় এই ঘন দুধ। প্রথমে ব্রুড স্যাকে ডিমগুলো জমা হয়। এরপর, ডিমগুলো ভ্রূণে পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ব্রুড স্যাকটি আস্তে আস্তে তাদের পুষ্টিকর খাবার প্রদানের জন্য এক প্রকার তরল জাতীয় পদার্থ উৎপাদন শুরু করে। যাকে দুধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর জমা হওয়া ভ্রুণ থলি থেকে দুধ খেতে শুরু করে, যা তাদের পেটে দুধের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। ভ্রূণের শরীরে অতিরিক্ত দুধ তাদের অন্ত্রে স্ফটিকের মতো এক প্রকার তরল পদার্থ গঠন করে। গর্ভবতী তেলাপোকার ব্রুড স্যাক থেকে ভ্রূণগুলোকে আলতোভাবে ছাড়িয়ে দিয়ে এই দুধ আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে, এই তেলাপোকার দুধ উৎপাদনের ধারণাটি অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, এক হাজার তেলাপোকার থেকে মাত্র ১০০ গ্রাম দুধ পাওয়া সম্ভব।